হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বিকাশ ভবনের সামনে থেকে অবস্থান- বিক্ষোভ প্রত্যাহার চাকরিহারা শিক্ষক-অশিক্ষকরা। সেন্ট্রাল পার্ক লাগোয়া বইমেলার মাঠের সামনে নতুন করে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হবে। আন্দোলনের পথ থেকে তাঁরা পিছু হঠবেন না বলে শনিবার আরও একবার স্পষ্ট করেন চাকরিহারারা। পাশাপাশি চাকরি ফেরানোর কী উপায় বের করা যায়, তা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের ব্যাপারেও আবেদন জানান তাঁরা।
চাকরিহারা শিক্ষক-অশিক্ষকরা জানান, রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দলের যে সব সাংসদ রয়েছেন, সবাইকে চিঠি দেওয়া হবে। রাজ্যে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানানো হবে। কী ভাবে চাকরি ফেরানো যায় তা নিয়ে আলোচনা চান তাঁরা। পাশপাশি সংসদেও যাতে বিষয়টি ওঠে, সেই ব্যাপারেও সাংসদদের কাছে আর্জি জানানো হবে।
আগামী সোমবারের মধ্যে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন কর্মহারা শিক্ষকরা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে সোমবারের মধ্যে কোনও সদুত্তর না এলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। নতুন যে জায়গায় তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভে বসবেন, সেখানে যেন উপযুক্ত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারেও আর্জি জানানো হয়।
আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আমরা ১৫-১৬ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান-বিক্ষোভ করছি। কিন্তু এই ক’দিনে শিক্ষামন্ত্রী বা অন্য কোনও মন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। আমরা সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। কোনও সদুত্তর না পেলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব।’ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তাঁরা।
শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল ২০০ জন ‘রোটেশনাল’ পদ্ধতিতে অবস্থান-বিক্ষোভ করতে পারেন। সাধারণ মানুষের অসুবিধা যাতে না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। পাশাপাশি, প্রশাসনের তরফেও আন্দোলনকারীদের জন্য পুরসভার জল ও বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।