সংসারের হাল ধরতে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন মালদার এক তরুণ। শনিবার সকালে মালদায় তাঁর বাড়িতে এল কফিনবন্দি দেহ। মালদার ইংলিশ বাজার ব্লকের শোভানগর অঞ্চলের মাদিয়া বাধাগাছ গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম শেখ বুলু (২৫)। সূত্রের খবর, ওই পরিযায়ী শ্রমিক কর্নাটকে কাজ করতে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। শেখ বুলুর পরিবারে পাশে থাকার পাশাপাশি তাঁর দুই সন্তানের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল রহমান সিদ্দিকি।
পরিবার সূত্রের খবর, শেখ বুলু তাঁর স্ত্রী খুশবারি খাতুন দুই সন্তানকে নিয়ে মাদিয়া বাধাগাছ গ্রামে থাকতেন। কিন্তু অভাবের সংসারে রোজগারের আশায় মাস চারেক আগে তিনি কর্নাটকের হুবলি জেলায় টাওয়ার বসানোর কাজে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সকালে টাওয়ার তৈরির সরঞ্জাম গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় পথদুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার মালদায় তাঁর কফিনবন্দি দেহ আসে।
পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন শেখ বুলু। পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর পর দিশেহারা এবং শোকাছন্ন হয়ে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী খুশবারি খাতুন। দুই সন্তানকে নিয়ে কী ভাবে সংসার চালাবেন? কী ভাবে তাদের মুখে দু মুঠো ভাত তুলে দেবেন? এখন সেই চিন্তাই করে চলেছেন খুশবারি। শনিবার পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ গ্রামে আসতেই সেখানে যান স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল রহমান সিদ্দিকি। তিনি মৃত শ্রমিকের পরিবারকে সব রকম সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
জুয়েল রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘ইদের পরেই শেখ বুলু কাজের জন্য কর্নাটকে গিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে আমরা ওর মৃত্যুর খবর পাই। আমরা পরিবারের পাশে রয়েছি। ওদের দুটো সন্তান রয়েছে। আমি তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছি।’