গাড়ি করে লোক নিয়ে এসে প্রকাশ্যেই 'নিধন', পুলিশ আসার আগেই সরে পড়ল দুষ্কৃতীরা
আজকাল | ২৫ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার অন্তর্গত বালিয়া-নওপাড়া এলাকায় শিশু-সহ বেশ কিছু দামি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল কয়েকজন গাছ মাফিয়ার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত বা ব্লক প্রশাসন কারও অনুমতি নেওয়া হয়নি প্রাপ্তবয়স্ক দামি এই গাছগুলো কাটার আগে।
পুলিশ প্রশাসন গাছ কাটার খবর পাওয়ার আগেই গাছ মাফিয়ারা দামি কাঠ ট্রাক্টরে করে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে।
বেআইনিভাবে গাছ কাটার খবর পেয়ে, বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা কয়েকজন শ্রমিককে আটকে রাখেন। বালিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান দেবী দাস বলেন,' গাছ কাটার খবর আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু কে বা কারা এই গাছগুলো কেটেছে সেটা আমরা জানি না। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে নওপাড়া এলাকায় কোনও ব্যক্তিকে কোনও গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হচ্ছে।' সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নূরে মেহেবুব আলম বলেন,' পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখার ক্ষেত্রে গাছের অবদান অনস্বীকার্য। রাজ্য সরকার যেখানে বারবার গাছ লাগানোর কথা বলছেন, সেই জায়গায় যারা প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বেআইনিভাবে গাছ কেটেছে তাদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।' স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে বালিয়া-নওপাড়া এলাকায় ১২ -১৪ জন শ্রমিককে একটি বিলের ধারে লাগানো বেশ কিছু দামি শাল ,সেগুন-সহ অন্যান্য কয়েকটি গাছ কাটতে দেখা যায়। গ্রামবাসীরা এর প্রতিবাদ করলে যারা গাছ কাটতে এসেছিল তারা দাবি করে স্থানীয় পঞ্চায়েতের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছে।
এরপরই কাটা গাছের গুড়ি এবং অন্যান্য কাঠ দ্রুত কয়েকটি ট্রাক্টরে ভর্তি করে এলাকা থেকে বেরিয়ে যায় কিছু লোক। ইতিমধ্যে স্থানীয় গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েতের কাছ থেকে খবর নিয়ে জানতে পারেন ওই এলাকায় কাউকে কোনও গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেই সময় গ্রামবাসীরা শ্রমিকদেরক ঘিরে ধরে বিক্ষোভ শুরু করেন।
গাছ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এলাকা থেকে ট্রাক্টরে করে গাছ নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামের বেশ কয়েকটি পাটের ক্ষেত তারা নষ্ট করে দিয়েছে।
ইসমাইল শেখ নামে এক শ্রমিক জানান, 'হরহরি এলাকার বাসিন্দা রমজান শেখ নামে এক ব্যক্তি দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরির বিনিময়ে আমাদের গাছ কাটার জন্য নিয়ে এসেছিল। সে আমাদেরকে জানায় পঞ্চায়েতের তরফ থেকে এই গাছগুলো কাটার জন্য তার কাছে যথাযথ অনুমতিপত্র রয়েছে।' যদিও গাছ কাটার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে রমজান শেখ এবং তার কয়েকজন সাগরেদের খোঁজ মিলছে না।