ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বিরাট বাঙ্কারের হদিশ, পাচার না নাশকতার ছক? যৌথ তদন্তে পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী...
আজকাল | ২৫ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোচবিহার জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে পাওয়া গেল রহস্যময় এক বাঙ্কারের হদিশ। বাঙ্কারের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই রয়েছে ভেটাগুড়ি পুলিশ ফাঁড়ি। খবর পেয়ে অভিযান চালায় দিনহাটা ও সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশের যৌথ দল। অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি পুরনো গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির এক সদস্যকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, দিনহাটার ভেটাগুড়ির সিঙ্গিজানি গ্রামের টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি বাড়ির ভিতরেই ওই বাঙ্কার পাওয়া গিয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, রাত হলেই ওই বাড়িতে আনাগোনা শুরু হত বহিরাগতদের। যাতায়াত করত নানা ধরনের গাড়ি। ঘটনার পর থেকেই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনীর একটি বিশেষ দল এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে। ওই বাড়িতে ঘাঁটি করে কি পাচারচক্রের কারবার চলছিল, নাকি করা হচ্ছিল নাশকতার ছক? এবিষয়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে ফোন করা হলে তিনি ‘ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব’ বলে ফোন কেটে দেন।
ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রিয়াঙ্কা সরকার দে জানান, ‘পুলিশ বাড়িটিতে অভিযান চালানোর পর অনেক কিছুই জানা গিয়েছে। বাড়িটিতে বিশাল বাঙ্কার তৈরি করা হচ্ছিল। এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জেনেছি বাইরের লোকজনও ওই বাড়িতে আসত।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রহস্যময় ওই বাড়িটি মাস ছয়েক আগে তৈরি হয়েছিল। হোসেন আলি, তাঁর দুই ছেলে হাসান, ওসমান এবং পরিবারের আরও দু-তিনজন সদস্য সেখানে থাকতেন। কোচবিহারের ঘুঘুমারি এলাকাতেও হোসেনদের একটি বাড়ি ছিল। চলতি মাসের শুরুর দিকে গাঁজা পাচার করতে গিয়ে পুণ্ডিবাড়ি থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ওসমান। তারপর ওই বাড়িতে বাঙ্কারের খোঁজ পাওয়া যায়।