• নিম্নমানের ওষুধে বিপদ, সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্রশাসন, কঠোর পদক্ষেপ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের
    আজকাল | ২৫ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত ১৯ মে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোলের ল্যাবরেটরিতে ১৯৮টি ওষুধ গুণগত মানের পরীক্ষায় অনুর্তীর্ণ হওয়ার পর রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের দিক থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতারা কোন কোন ওষুধ অর্থাৎ ট্যাবলেট, ক্যাপসুল ও ইঞ্জেকশন বিক্রি করতে পারবে আর কোনগুলি বিক্রি করতে পারবেন না এবং ক্রয় ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কী কী পন্থা অবলম্বন করতে হবে। মূলত নকল ওষুধ বিক্রির সমস্যা মোকাবিলার উদ্দেশ্যে এই নির্দেশিকা। 

    পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের যে নির্দেশিকা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে-

    ১) হোলসেলারদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, তারা যে ওষুধ ক্রয় করছেন তা মূল উৎপাদনকারী সংস্থার ক্যারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট থেকে শুরু করে যথাযথ পদ্ধতির মাধ্যমে তাদের কাছে এসেছে।

    ২) হোলসেলারদের অবশ্যই বিক্রেতাদের লাইসেন্সের বৈধতা অনলাইন লাইসেন্স পোর্টালের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে (যা প্রায় সমস্ত রাজ্যের জন্য উপলব্ধ)। রাজ্যের বাইরে অবস্থিত ডিস্ট্রিবিউটরদের যাচাইয়ের জন্য তা পশ্চিমবঙ্গ ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগে জমা দিতে হবে।

    ৩) রাজ্যের বাইরে অবস্থিত হোলসেলারদের টাকা দেওয়ার সময় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংস্থার নামে রয়েছে।

    ৪) হোলসেলারদের অবশ্যই জিএসটি নম্বর যাচাই করতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে সংশ্লিষ্ট সংস্থা জিএসটির ক্রেডিট নিচ্ছে।

    ৫) সকল পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের অবশ্যই সূচি H2-এর অন্তর্ভুক্ত ৩০০টি ওষুধের কিউআর কোড যাচাই করা বাধ্যতামূলক।
  • Link to this news (আজকাল)