সংবাদদাতা, বালুরঘাট: মাস তিনেক আগেই তৈরি হয়েছিল বালুরঘাটের কাশিয়া খাঁড়ির ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা। খাঁড়িতে সামান্য জল বাড়তেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ ও রাস্তা সংলগ্ন রাস্তা। রাস্তায় ফাটল ধরেছে। কিছুটা বসেও গিয়েছে। ব্রিজের সংযোগকারী গার্ডওয়ালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আতঙ্কিত বালুরঘাট ব্লকের জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতের গঙ্গাসাগর-রাধানগর সহ বহু গ্রামের বাসিন্দারা। আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হল ওই ব্রিজের ওপর দিয়ে যাতায়াত। বছর তিনেক আগেই গঙ্গাসাগর রাধানগর সংযোগকারী কাশিয়া খাঁড়ির ওপর মাত্র তিনমাস আগে তৈরি রাস্তার এমন বেহাল দশায় প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছেন তাঁরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
বালুরঘাটের জলঘর গ্রামপঞ্চায়েতকে দু’ভাগ করেছে কাশিয়া খাঁড়ি। গঙ্গাসাগর ও রাধানগর গ্রামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি পাকা ব্রিজের দাবি ছিল। প্রশাসন সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকায় ছোট একটি ব্রিজ তৈরি হয়। পরে প্রায় ২২ লক্ষ টাকায় ব্রিজের সংযোগকারী রাস্তাও হয়। মাস তিনেক আগে ওই রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষা শুরু না হতেই ওই রাস্তায় ফাটল ধরে যাওয়ায় নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় সুব্রত শীল বলেন, নিম্নমানের কাজ করাতেই এই বিপত্তি। আমরা চাই, সঠিকভাবে রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করা হোক। এখনই অবস্থা। বর্ষা এলে কী হবে?
আরেক বাসিন্দা চন্দন দাস বলেন, এই রাস্তা দিয়ে বহু গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এখন ফসল নিয়ে যাওয়ার সময়। এই রাস্তা দিয়ে হাটে যাওয়া-আসা বন্ধ করতে হয়েছে কৃষকদের। বাধ্য হয়ে ঘুরপথে যেতে হচ্ছে। নিম্নমানের কাজের জন্যই এই অবস্থা। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করেছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারও। বলেছেন, নিম্নমানের কাজের জন্য বালুরঘাটে ড্যাম ভেঙেছে। এবার ব্রিজ ভেঙে পড়ার উপক্রম। তৃণমূলের আমলেই এটা সম্ভব।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ব্রিজ আমরা তৈরি করেছি। ব্রিজের কোনও সমস্যা হয়নি। ব্রিজ সংযোগকারী রাস্তা আমরা তৈরি করিনি। আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি। তারা নতুন করে রাস্তা করবে। আপাতত যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে।