• গো-সম্পদ বৃদ্ধিতে কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব
    বর্তমান | ২৫ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: গো-সম্পদ বৃদ্ধিতে প্রাচীন পন্থা ছেড়ে গোরুর কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর। যার লক্ষ্য একদিকে গোরুর দুধের চাহিদা মেটানো, অন্যদিকে গো-সম্পদ বিকাশের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। পশ্চিমবঙ্গ গো-সম্পদ বিকাশ সংস্থার বক্তব্য, উত্তর দিনাজপুর জেলায় গো-সম্পদ বিকাশে গত কয়েক বছর ধরে কাজ চলছে। এতে জেলায় গো-সম্পদ বিকাশ হয়ে চলেছে। কৃত্রিম প্রজননের নিরিখে দপ্তরের যা পরিসংখ্যান, তাতে গো-সম্পদ বিকাশে এই জেলা রাজ্যের মধ্যে প্রথম সারিতে উঠে এসেছে। গত অর্থবর্ষে জেলা জুড়ে ৩ লক্ষ ২৬ হাজার গোরুর উপর কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ হয়েছে। তাতে সফলভাবে ১ লক্ষ ৮ হাজার সংকর প্রজাতির গোরু জন্মেছে। এদিকে সরকারি এই উদ্যোগে উৎসাহী গো-পালকরাও। 

    জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর সূত্রে খবর, প্রাচীনকাল থেকে গোরুকে প্রজনন করানোর জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হতো। সেসময় গোরুর যে প্রজাতি ছিল, তাতে দুধের পরিমাণ অনেকটাই কম ছিল। সেগুলির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম ছিল। প্রযুক্তির যুগে বর্তমানে সেই পরিস্থিতির অনেকটাই বদল হয়েছে। ভালো প্রজাতির গোরু বাইরে থেকে দপ্তরের বিভিন্ন প্রজনন সেন্টারে আনা হয়। তা থেকে প্রয়োজনীয় বীজ সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হয়। এরপর সেই সংরক্ষিত বীজ প্রাণিসেবী, প্রাণিবন্ধু, মৈত্রীর সদস্যরা সংগ্রহ করে দেশি গোরুর উপর প্রয়োগ করেন। এই পদ্ধতিতে উন্নত প্রজাতির বাছুরের জন্ম হচ্ছে। এই কাজে উৎসাহ দিতে ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ গো-সম্পদ বিকাশ সংস্থার পক্ষ থেকে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেস্ট পারফর্মিং আর্টিফিশিয়াল ইমিউনিয়েশন ওয়ার্কার্সদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে কর্ণজোড়া প্রেক্ষাগৃহে। দুই জেলার প্রতিটি ব্লকের সেরা কর্মীকে শংসাপত্র ও আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

    গো-সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উত্তর দিনাজপুর জেলার এগজিকিউটিভ অফিসার দিব্যেন্দু বিকাশ কর্মকার ও জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সৌমেন্দ্রনাথ বসাক বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই গো সম্পদ বিকাশ সংস্থা গো সম্পদ বিকাশের জন্য কৃত্রিম প্রজননের ব্যবস্থাপনার ব্যবহার করে আসছে। গত অর্থবর্ষে জেলাজুড়ে ৩ লক্ষ ২৬ হাজার গোরুর উপর কৃত্রিম প্রজনন ব্যবস্থাপনার প্রয়োগ হয়েছে। তাতে সফলভাবে ১ লক্ষ ৮ হাজার সংকর গোরু জন্মেছে। এর ফলে একদিকে যেমন দুধের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। অন্যদিকে চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি।
  • Link to this news (বর্তমান)