• বাংলার বাড়ি প্রকল্পে টাকা পেয়েও নির্মাণ করেননি হাজার উপভোক্তা, মালদহে সরকারি অর্থ ব্যবহার না করলে পুলিসে অভিযোগ
    বর্তমান | ২৫ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা মালদহ: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অর্থ হাতে পেয়েও নির্মাণ শুরু করতে ঢিলেমি করছেন উপভোক্তাদের একটি অংশ। পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে তাঁদের সতর্ক করার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া। সতর্কবার্তা পাওয়ার পরেও প্রকল্পের প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বাড়ি তৈরি না করলে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবে প্রশাসন। শনিবার জেলা উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এমনই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে প্রশাসনের তরফে। শুধু তাই নয়, সরকারি প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে ধীরগতিতে চলা, নিয়ম মেনে কাজ না করার ক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন দ্বিধা করবে না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এদিনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে।

    জেলা প্রশাসনিক ভবনে বৈঠকে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, সভাধিপতি লিপিকা বর্মণ ঘোষ, একাধিক কর্মাধ্যক্ষ, জেলাশাসক সহ অতিরিক্ত জেলাশাসকরা, মহকুমা শাসক প্রমুখ অংশ নেন। হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদেরও।

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এখনও প্রায় এক হাজার বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তা প্রাপ্য অর্থ পেয়েও নির্মাণ শুরু করেননি। সরকারি অর্থ হাতে পেয়ে তা নির্দিষ্ট কাজে ব্যবহার না করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    জেলাশাসক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছেন প্রশাসনিক কাজে গতি আনতে হবে। জেলায় আমরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ রূপায়ণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে এদিন পর্যালোচনা বৈঠক করেছি।

    নীতিন সিঙ্ঘানিয়া জানান, জনস্বাস্থ্য কারিগরি (পিএইচই) দপ্তরের কাজকর্ম নিয়েও অনেক অভিযোগ উঠেছে জেলাজুড়ে। বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের ক্ষোভ জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এদিন সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই ধরণের গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। বেশকিছু গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ ব্যবহারে পিছিয়ে রয়েছে। তাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা সময়সীমা বেঁধে দিয়েছি। সেইমতো জনস্বার্থে কাজ করতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)