সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবার থেকে সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়ে গর্ভবতীর পাশে তাঁর একজন আত্মীয়া থাকতে পারবেন। শনিবার রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের একটি দল পরিদর্শনে এসে বেশকিছু প্রস্তাব দেয়। প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রতিনিধি দলের পরামর্শ মতো এদিন থেকেই আমরা বার্থ অ্যাটেনডেন্ট চালু করেছি। প্রসবের সময় মা বা কোনও আত্মীয়া গর্ভবতীর পাশে থাকতে পারবেন।
এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিদর্শনেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের নানা খামতি ধরা পড়ল। গত শুক্রবার জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন অর্চনা মজুমদার পরিদর্শনে এসেছিলেন। তিনি এখানকার প্রসূতি বিভাগের নানা অসঙ্গতির পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ের অভাব ধরেছিলেন। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার পরিদর্শনে আসেন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের দল। ডাঃ অসীমকুমার দাস মালাকারের নেতৃত্বে এদিন স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে পরিদর্শন চলে। প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ, লেবার রুম সমস্তটাই তাঁরা ঘুরে দেখেন। তাতে প্রসূতি বিভাগের নানা ধরনের খামতি ধরা পড়ে। নতুন যে গাইড লাইন রয়েছে তা মেনে চলছে না এখানকার প্রসূতি বিভাগ। এব্যাপারে মূলত পুরনো ভবনের দিকটি দেখা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, লেবার রুমেরও বেশকিছু ত্রুটি চিহ্নিত হয়েছে। অসীম কুমার দাস মালাকার এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার অফিসার অসীম কুমার দাস মালাকার প্রসূতি বিভাগ পরিদর্শন করেছেন। সব দেখে তিনি আমাদের জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ নতুন গাইড লাইন মেনে চলছে না। পুরো ব্যবস্থা বদলে ফেলতে হবে। আমাদের পুরনো বিল্ডিং। অনেক বছর আগে তৈরি হয়েছে। তাই নতুন গাইডলাইন সময়মতো করা যায়নি। তবে প্রসূতি বিভাগ সংস্কারের কাজ এর মধ্যেই শুরু হবে। সেই কথা তাঁকে জানানো হয়েছে। তিনি রিপোর্ট দেওয়ার পর স্বাস্থ্যদপ্তর কী নির্দেশ দেয় দেখা যাক।