নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: শুধুমাত্র ইচ্ছে শক্তিতেই অপ্রয়োজনীয় খরচ যে কমানো সম্ভব তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েত। বিদ্যুতের খরচ কমাতে তাদের বসানো সোলার প্যানেলের মাধ্যমে এক লহমায় ৭০-৮০ হাজার থেকে খরচ নেমে দাঁড়িয়েছে ২০-২৫ হাজার টাকায়।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকার চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন ধরেই তাদের এলাকার একাধিক কাজকর্ম সঠিক পদ্ধতিতে করছে। একাধিক সমস্যা, গ্রামীণ পরিষেবা দিতেও পিছপা হয়নি এই গ্রাম পঞ্চায়েত। যে কোনও সময় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে দপ্তরের কর্মীরা হাসিমুখে পরিষেবা প্রদান করে থাকেন। দ্বিতল দপ্তরের ওপর নীচে মিলিয়ে ঘরের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। রয়েছে বিভিন্ন বিভাগের দপ্তর। এই সকল দপ্তরের বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে একসময় কালঘাম ছুটছিল কর্তৃপক্ষের। এরপরই বিকল্প পথে হাঁটা শুরু করে চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। প্রথমেই তারা বিদ্যুৎ অপচয় কমাতে ও খরচ বাঁচাতে সোলার প্যানেল লাগিয়ে ফেলে। যার ফলে গত প্রায় এক বছর ধরে বিদ্যুতের খরচ কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জনক সাহা বলেন, আমরা অনেক ভাবনাচিন্তা করে সোলার প্যানেল বসানোর সিদ্ধান্ত নিই। সেই মোতাবেক এই বিকল্প পরিষেবা গ্রহণ করে ৭০-৮০ হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল কমিয়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ২০-২৫ হাজার টাকার মধ্যে। যে টাকা বাঁচছে তা এলাকায় উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েতের মতো পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পায় প্রায় বছরখানেক আগে। সেই সময়ে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন স্কিমে সেই টাকা খরচ করার কথা ছিল। বলা হয়েছিল পার্ক বা সৌন্দর্যায়নের কাজে নতুন করে ব্যবস্থা নিতে। পরে সেই জায়গার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে নিজেরা সন্দিহান হয়ে পড়েন কর্তৃপক্ষের অনেকেই। এরপরই সকলে মিলে আলোচনায় বসেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে পার্ক বা সৌন্দর্যায়নের কাজে টাকা ব্যবহার না করে খরচ বাঁচানোর লক্ষ্যে ঝাঁপানো উচিত। এরপরই বিদ্যুতের খরচ কমানোর জন্য সোলার প্যানেল বসানো হয়।
প্রধান আরও বলেন, প্রায় ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা খরচ করে এই প্যানেল বসানো হয়েছিল। বর্তমানে তা মুনাফার একটি লগ্নি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা কখনও কখনও প্যানেলের কোনও সমস্যা হলে সাধারণ বিদ্যুৎ পরিষেবা নেওয়া হয় ঠিকই। তবে দ্রুত সোলার প্যানেল ব্যবহার করাই এখন দপ্তরের প্রত্যেকের কাছে অত্যন্ত সাশ্রয়ী পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে।