শহর ও শহরতলিতে জল জমার সমস্যা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা শুরু
বর্তমান | ২৫ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: বর্ষায় আলিপুরদুয়ার শহর ও আশপাশের কিছু এলাকার জলবন্দি কাটাতে এই প্রথম সেচদপ্তরের তরফ পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা শুরু হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার এই সমীক্ষায় শহরে আসেন সেচদপ্তরের উত্তর-পূর্বের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক। প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষায় সেচদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শহর ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার কেশব রায়।
সেচদপ্তরের উত্তর-পূর্বের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ আলিপুরদুয়ার, পঞ্চায়েত এলাকা শোভাগঞ্জ, কালজানি নদীবাঁধের স্লুইস গেটগুলি ঘুরে দেখেন। চাপড়েরপার-১ পঞ্চায়েতের চ্যাংপাড়া এলাকাটিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। এদিন প্রায় চার কিমি রাস্তা হেঁটে ঘুরে দেখেন সেচদপ্তরের ওই কর্তা। পরে বিধায়ক বলেন, প্রথম দিনে জিপিএস ম্যাপিং রিডিং ও স্যাটেলাইট ইমেজে সমীক্ষা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সার্ভে শুরু হল। শহর ও আশপাশের জল নদীতে নিকাশির ব্যবস্থা হলেই এই জলবন্দি সমস্যা মিটে যাবে। সেই কাজ কিভাবে করা যায় তা নিয়ে প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা হয়েছে। ধাপে ধাপে আরও হবে সমীক্ষা হবে।
ভুটান পাহাড়ে ও সমতলে অতি বৃষ্টি হলে আলিপুরদুয়ার শহরের ৫,১৫.১৭, ১৮, ২০ নম্বর ওয়ার্ড ও শহর লাগোয়া চ্যাংপাড়া, শোভাগঞ্জ ও চাপড়েরপার এলাকা জলবন্দি হয়ে পড়ে। বসিন্দাদের টানা কয়েকদিন জলবন্দি দশা চলে। শহরের পশ্চিমে কালজানি নদী ও পূর্বে নোনাই নদী রয়েছে। শহর থেকে কালজানির নদীবক্ষ উঁচুতে। আবার, নোনাই নদী কালজানি নদী থেকে নিচুতে। এই কারণে কালজানি নদীবাঁধের স্লুইস গেটগুলি দিয়ে শহরের জমা জল কালজানিতে গিয়ে পড়ে না। ৪০ বছর ধরে এই জলবন্দি সমস্যা চলছে শহরের মানুষের। যার জেরে ভূগতে হচ্ছে শহরের ৭০ হাজার মানুষকে। যার ফলস্বরূপ ১৯৯৩ সালে কালজানির বাঁধ ভেঙে জলে ভেসে গিয়েছিল গোটা শহর। তাই গত ১০ বছর ধরে পুরসভা বর্ষায় পাম্প লাগিয়ে শহরের জমা জল কালজানিতে ফেলে দেওয়ার ব্যবস্হা করে।
সেচদপ্তরের উত্তর-পূর্বের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, আলিপুরদুয়ার শহর ও শহর লাগোয়া কয়েকটি এলাকার জলবদ্ধতা কাটাতে প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষা হল। ধাপে ধাপে আরও সমীক্ষা হবে। চূড়ান্ত সমীক্ষার পর ডিপিআর তৈরি হবে। তারপর অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ শুরু হবে। - নিজস্ব চিত্র।