নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: কিছুদিন আগে একাধিক অব্যবস্থার জন্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের কোপের মুখে পড়তে হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে। এবার সেই কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেই অনুপস্থিত থাকা, চূড়ান্ত অবহেলা, সময় না দেওয়ার মতো একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠল। অভিযোগ তুললেন রায়গঞ্জ মেডিক্যালেরই সার্জারি বিভাগের একজন সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বিদ্যুৎ বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, অধ্যক্ষ নিজেই অনিয়মিত। সপ্তাহে সর্বাধিক একদিন কলেজে আসেন। ফলে মেডিক্যাল কলেজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে কীভাবে? পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়েও কার্যত চলছে ছেলেখেলা। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একজন প্রবীণ চিকিৎসক সরব হওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মেডিক্যাল কলেজের অন্দরে। যদিও এসব অভিযোগকে গুরুত্ব দেননি রায়গঞ্জ মেডিক্যালের অধ্যক্ষ স্নেহাংশু পান। তিনি ফোনে জানিয়েছেন, ওই চিকিৎসককেই বলুন মেডিক্যাল কলেজের সবকিছু ঠিক করতে। মেডিক্যালের অন্য চিকিৎসকদের জিজ্ঞেস করুন, কলেজ যথাযথভাবে চলছে কি না। তাহলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
মেডিক্যালের সার্জারি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর বিদ্যুৎ বিশ্বাসের কথায়, মেডিক্যাল কলেজ শুরুর পর থেকে যাঁরা অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজ চালিয়েছিলেন, তাঁরা দক্ষ ছিলেন। কিন্তু বর্তমান অধ্যক্ষ সময় দেন না কলেজের জন্য। তিনি একদিকে মেডিক্যালের সার্জারি বিভাগের প্রধান, আবার অধ্যক্ষও। কিন্তু সময় দেন না। থাকেন না।
বিদ্যুতের সংযোজন, সম্প্রতি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের পরিদর্শন হয়েছে। অধ্যক্ষকে ফোন করে ডেকে আনতে হয়েছে। তাঁর ২০২৬ সালে অবসর গ্রহণের কথা। তার আগে রায়গঞ্জ মেডিক্যালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব অন্যভাবে ভোগ করছেন। তিনি পদের দায়িত্ব যথাযথভাবে সামাল দিতে পারছেন না।
অধ্যক্ষ অনিয়মিত আসায় চিকিত্সার পাশাপাশি কলেজের পঠনপাঠন নিয়েও সমস্যা হচ্ছে বলে বিদ্যুতের অভিযোগ। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। প্রয়োজনে জনস্বার্থ মামলাও করব। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মেডিক্যাল কলেজের অন্য চিকিৎসকরা এখনই অবশ্য মুখ খুলতে চাননি।