পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলত জঙ্গি আব্বাস
বর্তমান | ২৫ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: ডায়মন্ড হারবারের পাতরা গ্রামের বাসিন্দা, জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে ধৃত মহম্মদ আব্বাসউদ্দিন মোল্লাকে জেরা করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ যোগ পেল এসটিএফ। ওই দুই দেশের কয়েকজনের সঙ্গে ভয়েস কলে নিয়মিত কথা হতো তার। ১৩ দিন পুলিস হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার আব্বাস সহ ধৃত তিন জঙ্গিকে ফের রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী সৈকত হাটি বলেন, বিচারক ধৃত তিনজনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।
খাগড়াগড় কাণ্ডের সময় থেকেই নিষিদ্ধ জেএমবি সংগঠন বীরভূমজুড়ে তার জাল বিস্তার করেছে। ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বীরভূম থেকে কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছে। এরই মধ্যে মে মাসের শুরুতে নলহাটি থানায় চার জেএমবি জঙ্গির নামে এফআইআর হয়। ৯ মে নলহাটি ও মুরারই থানা এলাকা থেকে জেএমবির দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। তার মধ্যে আজমল হোসেনের বাড়ি নলহাটি থানার চণ্ডীপুর গ্রামে। অপরজন সাবের আলি খান মুরারইয়ের চাতরা গ্রামে বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশের বেশকিছু ধর্মীয় পুস্তক, ল্যাপটপ ও মোবাইল উদ্ধার হয়। আজমলকে জেরা করেই খোঁজ মেলে আব্বাসের। ৯ মে আব্বাসকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা সকলেই দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। আজমলই সাবেরের মগজ ধোলাই করে জঙ্গি কাজকর্মে নিয়োগ করে। অস্ত্র সরবরাহ ও স্পটে অ্যাকশন করার দায়িত্ব ছিল আব্বাসের। জার্মানির মোডেম ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে ভারত বিরোধী বার্তা ছড়াত সে। একই সঙ্গে যুবকদের ভারত বিরোধী জঙ্গি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করত। সেই সঙ্গে চলত সদস্য সংগ্রহ। বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছিল তারা।
সরকারি আইনজীবী বলেন, আব্বাসের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল খতিয়ে দেখে এসটিএফ জানতে পেরেছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কয়েকজনের সঙ্গে সে নিয়মিত ভয়েস কলে কথাবার্তা বলত। ঠিক কী ধরনের কথাবার্তা সে বলত তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডকুমেন্ট ঘেঁটে জেএমবি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগ স্পষ্ট হয়েছে। বাকিদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডকুমেন্টও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এফআইআরে নাম থাকা আরও এক যুবকের খোঁজ চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে এই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আরও কয়েকজনের হদিশ পাওয়া সম্ভব।