নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: পুনর্বাসন না দিয়েই হকার উচ্ছেদের চেষ্টার বিরুদ্ধে একযোগে রুখে দাঁড়াল বাম-কংগ্রেস ও তৃণমূল। শনিবার রানাঘাট স্টেশনে উচ্ছেদ অভিযানে আসা আরপিএফকে ঠেকাতে অবস্থান বিক্ষোভ করে তিনটি দলের শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। দিনভর আন্দোলন চলার পর বিকেলে পুনর্বাসন নিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্তে রাজি হয় রেল। তাতে সম্মত হয় এবং হকার ও পুরকর্তৃপক্ষ।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রানাঘাট স্টেশন সংলগ্ন হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেমেও খালি হাতে ফিরতে হল রেলপুলিসকে। এদিন হকার ইউনিয়নগুলির প্রতিরোধে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে রানাঘাট স্টেশন এলাকায় চারশোর বেশি হকার রয়েছেন। এরমধ্যে বড় টিকিট কাউন্টার সংলগ্ন এলাকায় রয়েছেন ২৬ জন হকার। যাঁদের কারও অস্থায়ী দোকান রয়েছে, কেউ ব্যবসা করেন শেডের নীচে। সেই টিকিট কাউন্টার চত্বরের উন্নয়নের জন্য বহুবার হকারকে সরে যাওয়ার আবেদন করেছে রেল। দেওয়া হয়েছে নোটিসও। কিন্তু, বিকল্প সংস্থান না পেয়ে জায়গা ছাড়তে নারাজ হকাররা। তাঁরা বলেন, রেলস্টেশনের উন্নয়নের পক্ষে তাঁরাও। কিন্তু, কারও ভাত না কেড়ে রেলকে উন্নয়ন করতে হবে। তাই উচ্ছেদের আগে বিকল্প জায়গা দিতে হবে। শুক্রবার রেল, পুরসভা এবং হকার সংগঠনগুলির সম্মিলিত বৈঠকে বিকল্প জায়গার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলেও সন্ধ্যার পর রেল জানায়, শনিবার উচ্ছেদ অভিযান হবে। তার প্রতিবাদে সকাল থেকেই টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল সমর্থিত আইএনটিটিইউসি, কংগ্রেসের আইএনটিইউসি এবং সিপিএমের সিটুর যৌথ মঞ্চ। রেলওয়ে হকারর্স যৌথ সংগ্রাম কমিটির সদস্য তথা আইএনটিটিইউসি নেতা বিজনকুমার ঘোষ বলেন, আমরা বারবার আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চেয়েছিলাম। কিন্তু, রেল সদর্থক কোনও আশ্বাস দিচ্ছে না। ২৬ জন হকারকে উচ্ছেদ করা হলে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মুখে ভাত তুলে দেবে কে? আমরা তাই তিন দলের শ্রমিক সংগঠন এক জায়গায় হয়েছি।