• জেলায় বিদ্যুৎ চুরিতে রাশ টানতে স্মার্ট মিটারে জোর
    বর্তমান | ২৫ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: বিগত অর্থবর্ষে বিদ্যুৎ চুরির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে প্রায় দু’কোটি টাকা জরিমানা আদায় করে বিদ্যুৎ দপ্তর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মিটারে কারচুপির মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দপ্তরের আধিকারিকরা লাগাতার অভিযান চালান। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের জরিমানাও করা হয়। তারপরেও বিদ্যুৎ চুরিতে রাশ টানা যাচ্ছে না। তাই এবার স্মার্ট মিটার বসানোয় জোর দিচ্ছে দপ্তর। মূলত শহর ও শহরতলি সংলগ্ন এলাকাগুলিতে এই কাজ শুরু হয়েছে। যদিও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, সচেতনতার অভাবে অনেকেই স্মার্ট মিটার বসাতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে কাজের গতি ব্যাহত হচ্ছে।

    বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণী মহকুমায় ৫০ হাজার উপভোক্তার বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। ইতিমধ্যেই প্রায় ৪০ হাজার বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে। তবে রানাঘাট, কৃষ্ণনগর ও তেহট্ট সাব-ডিভিশনে কাজের গতি অনেকটাই ধীর। এবার সেই এলাকাগুলিতে গতি আনার উপর জোর দিচ্ছে দপ্তর।

    বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, মানুষের মধ্যে স্মার্ট মিটার নিয়ে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। আমরা সচেতনতার মাধ্যমে ভুল ভাঙাতে চেষ্টা করছি। স্মার্ট মিটার বসালে উপভোক্তারাই উপকৃত হবেন। নদীয়া জেলায় বিদ্যুৎ দপ্তরের মোট চারটি ডিভিশন রয়েছে। প্রতিটি ডিভিশনে গড়ে আড়াই লক্ষ উপভোক্তা রয়েছেন। জেলার ৪০টি সাব-স্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ধাপে ধাপে সমস্ত উপভোক্তার বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দপ্তরের দাবি, অনেক গ্রাহক মনে করছেন, স্মার্ট মিটার বসালে বিদ্যুৎ বিল বেড়ে যাবে। বিল দিতে একদিন দেরি হলেই নাকি সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। অথচ আধিকারিকদের মতে, স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে উপভোক্তারা যেকোনও জায়গা থেকে বিদ্যুৎ বিল মেটাতে পারবেন। বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও সুবিধা মিলবে। নির্ধারিত সময়ের আগে চূড়ান্ত বিল পরিশোধ করলে স্মার্ট মিটার গ্রাহকরা ৪ শতাংশ ছাড়ও পাবেন বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর। তাছাড়া স্মার্ট মিটারে কারচুপি করা অত্যন্ত কঠিন। ফলে বিদ্যুৎ চুরির প্রবণতাও কমবে বলে মনে করছে দপ্তর।
  • Link to this news (বর্তমান)