নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মাঝে মধ্যেই হানা ছিঁচকে চোরের। অলিগলি ঢুকে কোনও বাড়ির সদর দরজা বা একতলার জানালা খোলা দেখলেই অপারেশন চালাচ্ছে চোর। শেষ ছ’মাসে একের পর এক চুরির অভিযোগ উঠেছে মুচিপাড়া থানা এলাকায়। অভিযোগের পর কয়েকটি কেস কিনারাও করেছে পুলিস। এবার চোরেদের লাগাতার উপদ্রব রুখতে নজরদারি বৃদ্ধি করল মধ্য কলকাতার মুচিপাড়া থানা। বসানো হল ১১৭টি নতুন সিসি ক্যামেরা। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে থানাতেই।
১৬ এপ্রিল অখিল মিস্ত্রি লেনে দিনেদুপুরে চুরির চেষ্টা হয়। গলির মধ্যে একটি বাড়ির সদর দরজা খোলা ছিল। সে সুযোগে বাড়িতে প্রবেশ করে এক যুবক। অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখে চিৎকার শুরু করে বাড়ির পোষ্য কুকুরটি। তাতে সজাগ হয়ে যান গৃহকর্ত্রী। যুবককে আটকে দেন তিনি। আশপাশের বাড়ি থেকে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই খবর প্রকাশিত হয়েছিল ‘বর্তমান’এ। সেই খবরের জেরেই এলাকায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। এলাকাবাসীরা জানান, অখিল মিস্ত্রি লেন সহ শিয়ালদহ স্টেশনের আশপাশের এলাকায় বহু গলি রয়েছে। আগেও সেখানে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। লালবাজার সূত্রে খবর, এই এলাকা ঘিঞ্জি। পাশেই শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত রেল স্টেশন থাকায় বহু মানুষের আনাগোনা। এই এলাকার সংযোগস্থলে রয়েছে বৈঠকখানা বাজার। যার ফলে চুরির পর দুষ্কৃতীদের পালাতে সুবিধা হয়। এই কারণে মুচিপাড়া এলাকা চোরেদের সহজ ‘টার্গেট’।
কলকাতা পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্যই ১১৭টি সিসি ক্যামেরা ইনস্টল করা হয়েছে। মুচিপাড়া থানার ভিতর থেকেই সবকটি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হবে। উত্তর কলকাতার এমপি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ তহবিলের টাকায় এই ক্যামেরা বসেছে। পুলিস সূত্রে খবর, প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, চোরেদের উপদ্রব কমাতে এলাকায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। মাঝেমধ্যেই এলাকার বিভিন্ন বাড়ি থেকে মোবাইল, ঘড়ি চুরি যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। এই নজরদারির ফলে সেই উপদ্রব কমবে বলে আশাবাদী বাসিন্দারা।