নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এবার অভিযান বিহার! বাংলার আসা জাল ওষুধের তদন্তে এবার বিহারে একাধিক জায়গায় অভিযানের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। আপাতত দু’টি জায়গায় হতে পারে সেই অভিযান। কিন্তু কবে হবে, সে ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল কর্তারা। সূত্রের খবর, আমতা কাণ্ডে রাজ্যে আসা প্রায় ২ কোটি টাকার প্রেশার, সুগার সহ বিভিন্ন রোগের জাল ওষুধ কেনা হয়েছিল বিহার থেকে। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে অফিসাররা জানতে পেরেছেন, জাল ওষুধ কাণ্ডে আমতার কারবারির সঙ্গে বিহারের মাস্টারমাইন্ডের টাকার লেনদেন হয়েছিল গয়ার একটি ব্যাঙ্ক থেকে। ভুয়ো বিল পাঠানো হয়েছিল পাটনার একটি সংস্থার নাম করে। তদন্তে এই সংক্রান্ত আরও বিভিন্ন তথ্য হাতে এসেছে রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিন রাজ্য থেকে আসা জাল ওষুধের ব্যাপারে ড্রাগ কন্ট্রোলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে বলেন। কোনওভাবে যাতে এই ধরনের ওষুধ বাংলায় ঢুকতে না পারে, সেজন্য স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জারি হয়েছে অ্যাডভাইজারি। এরই সঙ্গে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নৈতিক সমর্থন পাওয়ায় জাল ওষুধের বিরুদ্ধে ড্রাগ কন্ট্রোলের যুদ্ধে আরও গতি এসেছে। ড্রাগ কন্ট্রোলের একাধিক সূত্রের খবর, যে কোনও দিন রাজ্য পুলিস ও ড্রাগ কন্ট্রোলের বিশেষ তদন্তকারী টিম বিহার অভিযানে যেতে পারে। বিষয়টি গয়া এবং সেখানকার একাধিক জেলার পুলিস সুপারকে জানিয়েও রাখা হয়েছে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জেলায় জেলায় ডিস্ট্রিক্ট টাস্ক ফোর্স আরও জোরকদমে ওষুধের দোকানে নজরদারি বাড়াল। উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ১, সহকারী ড্রাগ কন্ট্রোলার, ড্রাগ ইনসপেক্টর প্রমুখ অফিসারদের নিয়ে তৈরি এই যৌথ টিম ওষুধের দোকানে গিয়ে স্টক মেলানো, কিউ আর কোড যাচাই করা, ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ কি না, তা খতিয়ে দেখা, সন্দেহজনক হলে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো, এইসব কাজে আরও গতি বাড়িয়েছে। পাশাপাশি জেলার সরকারি হাসপাতালে ওষুধ সরবরাহকারী ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোর, হাসপাতালগুলির নিজস্ব ফার্মাসি ও স্টোরেও হানা দেওয়া শুরু হয়েছে জোর কদমে। দক্ষিণবঙ্গের এক জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকানে