হাড়োয়ায় ভেড়ি নিয়ে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, আক্রান্ত জমির মালিক
বর্তমান | ২৫ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ভেড়ি নিয়ে ফের হাড়োয়ায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠল! ভেড়ির নির্দিষ্ট টাকা দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রেখে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। টাকা দাবি করলে দেওয়া হচ্ছিল হুমকি। শুক্রবার ও শনিবার জমি মালিকদের হুমকির পাশাপাশি মারধরের অভিযোগ উঠল ওই নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাড়োয়ার হাসিয়া গ্রামে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম। আক্রান্তরা শনিবার দেগঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের পক্ষ থেকেও পাল্টা অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
হাড়োয়া বিধানসভার অন্তর্গত দেগঙ্গা ১ পঞ্চায়েতের হাসিয়া গ্রাম মূলত ভেড়ি অধ্যুষিত। অভিযোগ, ভেড়ির জমির মালিকদের কাছ থেকে তুলনামূলক কম দামে জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেন দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। এছাড়া টাকাও সঠিক সময়ে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। বহুদিন ধরে চলা অনিয়মের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সরব হয়েছেন জমির মালিকরা। তাঁদের দাবি, অল্প টাকায় তাঁরা জমি লিজ দেবেন না। প্রকাশ্যে নিলাম করতে হবে। কয়েকদিন আগে এনিয়ে সরব হওয়ায় জমি মালিকদের সঙ্গে বিবাদ হয় তৃণমূল নেতার। বিষয়টি নিয়ে ভেড়ির জমির মালিকরা গণস্বাক্ষর করেন। এই সন্দেহে শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে কর্মাধ্যক্ষের নেতৃত্বে তাঁর ঘনিষ্ঠরা লাঠি, রড, কুড়ুল নিয়ে আক্রমণ শানায় বলে অভিযোগ। তাতে জখম হয়েছেন জমি মালিক আব্দুল মান্নান, মিনারা বিবি, সামাদ আলি, গিয়াসুদ্দিন বিশ্বাসরা বলে দাবি। তাঁরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে রবিউল বলেন, মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিছু আইএসএফের লোক তৃণমূলের নামে কুৎসা করছিল। আমাদের কর্মীরা তাতে বাধা দিয়েছেন। আর ভেড়ির টাকা নিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই। ভেড়ি কমিটির সঙ্গে কথা বললে সব স্পষ্ট হবে। আমরাও এনিয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। এনিয়ে হাড়োয়ার তৃণমূল বিধায়ক সেখ রবিউল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দেগঙ্গা থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।