হাট কমপ্লেক্সের বিল্ডিংয়ের উপরতলা থেকে প্রথম আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। স্থানীয়রাই আগুন দেখতে পান। হাটের এক ব্যবসায়ী অশোকলাল রাই বলেন, ‘কী করে আগুন লেগেছে জানা নেই। আমরা শুয়েছিলাম। হঠাৎ বলল আগুন লেগেছে। একটি দোকানে আগুন লাগে। তারপর ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত।’
মুখে অক্সিজেন মাস্ক নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন দমকল বাহিনীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে বহু দোকান থাকায় দমকলের গাড়ি ভিতরে নিয়ে যেতেও সমস্যা হয়। মঙ্গলাহাটে বহু ছোট ছোট দোকান রয়েছে। সেই দোকানগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জামাকাপড় মজুত থাকে। দোকানগুলি বাঁশ এবং কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার ছুটির দিন থাকায় বহু মানুষ এসেছিলেন এই হাটে। তাঁরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলাহাটের মর্ডান হাট বিল্ডিংয়ের তিনতলায় আগুন লাগে। দমকলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগুন কীভাবে লেগেছে এখনও স্পষ্ট নয়। হাওড়া হাট সমন্বয় কমিটির সেক্রেটারি শম্ভু ঘোষ বলেন, ‘রবিবার হাটবার বলে সকলে উপস্থিত ছিলেন। যদি অন্যদিন মধ্যরাতে আগুন লাগতে, তাহলে পুরো ধ্বংস হয়ে যেত। হাট মালিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।’
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ এবং দমকল। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের সামনেই গঙ্গা এবং দমকলের সদর দপ্তর থাকায় আগুন নেভানোর কাজে জলের কোনও অভাব হয়নি।
মঙ্গলাহাটে ছোট ছোট ২০০টিরও বেশি দোকান রয়েছে। এছাড়া সেখানে একাধিক গোডাউনও রয়েছে। তৃণমূলের হাওড়া জেলার সভাপতি অরূপ রায় বলেন, ‘কী কারণে আগুন লাগল তা পুলিশ ও দমকল কর্মীরা খতিয়ে দেখছেন। এই ঘটনার পিছনে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ধরা পড়লে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালেও হাওড়া থানা সংলগ্ন মঙ্গলাহাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেই সময় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল হাটের বহু কাপড়ের দোকান। প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সাত ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল কয়েক লক্ষ টাকা।