• হাই কোর্টের নির্দেশে সমবায় ভোট, তাতেও রণক্ষেত্র বহরমপুর! লাঠিচার্জ পুলিশের
    প্রতিদিন | ২৫ মে ২০২৫
  • কল্যাণ চন্দ্র, মুর্শিদাবাদ: হাই কোর্টের নির্দেশে সমবায় নির্বাচন ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ। অভিযোগ, বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের দফায় দফায় সংঘর্ষ, হাতাহাতি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। তারপরও উত্তেজনা চলতে থাকে। উর্দিধারীদের গায়েও হাত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর ওই এলাকায় র?্যাফ নামে। দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে হয়। সমবায় ভোট ঘিরে ওই এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে হয়ে ওঠে।

    কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বহরমপুরের দৌলতাবাদ মহারাজপুর এসকেইউএস লিমিটেডে রবিবার ভোট হচ্ছে। পাঁচ বছর পর এই ভোট ঘিরে বেশ কয়েক দিন থেকে চাপা উত্তেজনা ছিল বলে খবর। এই সমবায় এতদিন সিপিএম-কংগ্রেস জোটের দখলে ছিল। এবার এই নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূলের তরফে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদিন সকালে ভোট শুরু হওয়ার পরই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। কিছু সময় পরেই তৃণমূল ও সিপিএম-কংগ্রেসের জোটের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। নিমেষে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। মাটিতে ফেলে মারধর, চেয়ার ভাঙচুরের অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিচ্ছিলেন। আর সেই বিষয়টি মানতে চায়নি বিরোধীরা। বিরোধীরাই হামলা চালিয়েছে বলে শাসক দলের অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চাননি বিরোধীরা। সমবায় দখল করতে তৃণমূল মরিয়া। তারাই এই হামলা চালিয়েছে বলে বিরোধীদের পালটা অভিযোগ।

    এই নির্বাচন ঘিরে পুলিশ মোতায়েন ছিল এলাকায়। পুলিশের সামনেই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি চলে বলে অভিযোগ। মাটিতে ফেলে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। উর্দিদের গায়েও হাত দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশ উত্তেজনা থামাতে চেয়ার ভাঙচুর করেছে। পুলিশের সামনেই শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী তাঁদের মারধর করেছে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে আরও পুলিশ ও র?্যাফ ঘটনাস্থলে যায়। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। বেশ কিছু সময়ের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি কোনও জটলাই করতে দিচ্ছে না পুলিশ-প্রশাসন। তবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)