রমেন দাস: ফের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন এসএসসি চাকরিহারারা। রবিবার বেলায় চাকরিহারাদের কয়েকজন প্রতিনিধি সাংসদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাংসদের কথাও হয় বেশ কিছুক্ষণ। কীভাবে যোগ্যদের চাকরি ফেরানো যায়, পরবর্তী পদক্ষেপ কী? সেই বিষয়ে কথা হয়েছে বলে খবর। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের হাতে, এই কথাই জানিয়েছেন সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি গিয়েছে। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আইনের মাধ্যমেই সব কিছু হবে। সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করা হবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়। পরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, ‘যোগ্য’ শিক্ষকরা চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত স্কুলে যেতে পারবেন। বেতনও পাবেন। যদিও ‘অযোগ্য’ শিক্ষক, অশিক্ষাকর্মীদের কাজে যোগ না দেওয়া ও বেতন না পাওয়ার নির্দেশই বহাল থাকে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের মাসিক আর্থিক সাহায্যের কথাও বলা হয়েছে।
কিন্তু চাকরিতে বহাল থাকার দাবিতে আন্দোলন চলছে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের একপক্ষের। সল্টলেকে বিকাশ ভবনের সামনে রাস্তায় বসে আন্দোলন চলছিল। যদিও কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আজ, রবিবার সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান কর্মসূচি সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। সেই আবহে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দল এদিন বেলায় সল্টলেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হন। হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদের সঙ্গে তাঁদের বেশ কিছু সময় আলোচনাও হয়। কোন পদ্ধতিতে চাকরিতে বহাল থাকা যায়, আগামী দিনে কী পদক্ষেপ করা যেতে পারে? সেই বিষয়ে কথা হয় বলে জানা গিয়েছে।
সাংসদ এদিন জানিয়েছেন, “বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের হাতে। সুপ্রিম কোর্ট মনে করলে পূর্ণমূল্যায়ণ করতে পারে, নাও করতে পারে। সবই সুপ্রিম কোর্টের হাতে। যোগ্য চাকরিহারাদের কোনও দোষ নেই। তাঁরা পরিস্থিতির শিকার। সেই কথা সুপ্রিম কোর্টে বোঝানো গেলে রায়ের রিভিউ নিয়ে ভাবতেও পারে সর্বোচ্চ আদালত।” এদিন প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কীভাবে যোগ্যদের চাকরি বাঁচানো যায়, কারা দুর্নীতির সুবিধা নিল, কারা নিল না, সেইসব বিষয় দেখার চেষ্টা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে কীভাবে মামলা লড়া যায়? সেই দিশা পেতেই এদিন সাংসদের বাড়িতে যাওয়া।