মালবাজারের ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে বালি ও পাথর বোঝাই একাধিক ডাম্পার আটকে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। শনিবার রাতে একাধিক ডাম্পার রাস্তায় নেমে পড়ায় সমস্যার মুখে পড়েন এলাকাবাসী। রাস্তা আটকে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মালবাজার থানার পুলিশ। ডাম্পারের মালিকরাও সেখানে আসেন। অভিযোগ, ঘটনাস্থলেই ডাম্পারের মালিক-সহ চালকরা এলাকাবাসীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরাও জখম হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, শনিবার রাতে ওদলাবাড়ির দিক থেকে ওই ডাম্পারগুলো আসছিল। এর পরই ডাম্পার আটকে রাস্তাতেই প্রতিবাদ শুরু করেন বাসিন্দারা। ডাম্পার ট্রাকের মালিকরা ঘটনার কথা জানতে পেরে অবরোধস্থলে চলে আসেন। কেন তাঁদের গাড়ি আটকে রাখা হয়েছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের গাড়ি চালানোর জন্য মারমুখী হয়ে ওঠেন ডাম্পারের মালিকরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানোর পর ডাম্পার মালিকদের সঙ্গে তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের উপরেও ডাম্পার মালিক ও কর্মীরা আক্রমণ চালায়। সেখানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। দুই সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ‘রাতের বেলা ডাম্পারগুলো যাক। আমাদের তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু রাস্তায় এখনও দোকানপাট, বাজার সব খোলা। এর মধ্যে একাধিক ডাম্পার বেরোনোয় যান চলাচলের সমস্যা হচ্ছে। রাস্তা পার হওয়ার জন্য প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কিন্তু তারপরেও রাস্তা পার হতে পারিনি। পুলিশও এই ঘটনায় সেই সময়ে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।’
সূত্রের খবর, শনিবার রাত তিনটের সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রবিবার ওয়েস্টার্ন ডুয়ার্স প্রেস ক্লাব সংগঠনের চেয়ারম্যান রাজেন প্রধান ও সভাপতি অনুপ সাহা মালবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মালবাজার থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সমীর আহমেদের কাছে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার উমেশ গণপথ খন্ডবহাল বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা বেশ কয়েকজন ডাম্পার মালিক ও ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছি। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’