• স্কুলে গরমের ছুটি চলছে, রবিবার হঠাৎই ডেকে পাঠালেন শিক্ষক... কারণ শুনলে চমকে যাবেন
    এই সময় | ২৬ মে ২০২৫
  • সরকারি স্কুলগুলিতে এখন গরমের ছুটি চলছে। তবে গরমের ছুটিতে বাড়িতে বসে থাকা নয়, স্কুলের তরফে দেওয়া হয় হোমওয়ার্ক। এর মধ্যে রয়েছে সামার প্রজেক্টের কাজও। স্কুল খুললে সে সব জমা দিতে হবে স্কুলে। সে সব কেমন চলছে, তা দেখতে হঠাৎই স্কুলে ডাক পড়ল খুদেদের। তবে ক্লাসরুমে নয়, রবিবার একেবারে অন্য অভিজ্ঞতা হলো আমতা পশ্চিম চক্রের মেনকা স্মৃতি বিদ্যামন্দির নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। খুশি অভিভাবকরাও।

    রাজ্যের স্কুলগুলিতে এখন গ্রীষ্মাবকাশ। সারা দিন ছুটি ছুটি আর খেলা। মাঝে অবশ্য বইয়ের পাতা উল্টে নিতে হয়। তবে পড়াশোনা শুধুই বইনির্ভর নয়, এর বাইরেও হয়, বিশ্বাস করেন মেনকা স্মৃতি বিদ্যামন্দিরের শিক্ষকরা।

    তাই গরমের ছুটিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সামার প্রজেক্ট কী রকম চলছে, তা দেখতে স্কুলে আসতে বলেছিলেন। সেই মতো রবিবার দুপুরে তারা এলে পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল সংলগ্ন অমরাগড়ী সাধারণ পাঠাগার, অমরাগড়ী পঞ্চায়েত অফিস এবং গাছ গাছালি ঘেরা স্থানীয় এক বাগানে যান শিক্ষকরা। বোঝানো হয় পরিবেশ সম্পর্কিত নানা বিষয়। দেওয়া হয় পরিবেশ সম্পর্কিত হোম ওয়ার্ক। রবিবার সারা দিন কী দেখল, কী শিখল, সেটাই লিপিবদ্ধ করাটাই হোম ওয়ার্ক।

    এই স্কুলের শিক্ষকদের মতে, পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি চারপাশকে চিনতে হবে। একাত্ম হতে হবে প্রকৃতির সঙ্গে। তাই স্কুলের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্কুলের এই উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরাও। তাঁদের মতে, সামার প্রজেক্টের জন্য বাচ্চারা ছুটিতেও বইখাতা নিয়ে বাড়িতে বসে পড়ছে। নতুন, নতুন জিনিস শিখছে, জানছে।

    প্রধান শিক্ষক শেখ গোলাম ইয়াজদানি বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়িতে বসে বইয়ে পড়ে যতটা না ভালো ভাবে উপলব্ধি করতে পারবে, প্রকৃতির মাঝে সামনা সামনি চাক্ষুষ করার মধ্যে দিয়ে শিক্ষালাভ করলে ওরা অনেক বেশি উপকৃত হবে। অনেক দিন সেগুলি স্মৃতিতেও থাকবে।’

  • Link to this news (এই সময়)