• বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৬ মে ২০২৫
  • বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের সম্ভাবনা। বুধবার থেকে উত্তাল হবে সমুদ্র। সমুদ্র উপকূলে ৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হওয়ার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। যার জেরে সপ্তাহ জুড়ে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মৎস্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে সতর্কবার্তা। আপাতত তিন দিন মৎস্যজীবীদের পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার উপকূলে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত শনিবার কেরলে আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা প্রবেশ করেছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত আট দিন আগে। এ রাজ্যেও আগাম বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গে সাধারণত আগে বর্ষা প্রবেশ করে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরে বর্ষা প্রবেশের অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই বর্ষা ঢুকে পড়তে পারে রাজ্যে। তবে দক্ষিণবঙ্গে এখনও বর্ষা প্রবেশের সময় নির্দিষ্ট করা যায়নি। মঙ্গলবারের নিম্নচাপের দিকে নজর রাখা হয়েছে। তার উপর নির্ভর করবে আদৌ দক্ষিণে আগে বর্ষা ঢুকবে কি না।

    আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপের জেরে আগামী ২৮ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। যার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার। বিশেষ করে ২৯ ও ৩০ মে উত্তাল থাকবে ওড়িশা ও বাংলার সমুদ্র সংলগ্ন উপকূল এলাকা। এই সময়সীমার মধ্যে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    হওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি রয়েছে হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান এবং বীরভূমে। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও বুধবার থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তালিকায় আছে কোচবিহার, মালদহ, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ার। এছাড়া উত্তরের সব জেলাতেই রবিবারের মতো সোমবারও বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    এদিকে যেহেতু মে মাসের শেষ সপ্তাহেই বর্ষার আগমনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে কলকাতা শহরে। তাই স্বাভাবিক কারণেই শহরে জল জমে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে কলকাতাবাসী। কিন্তু কলকাতা পুরসভার দাবি, তাদের প্রস্তুতির কারণে এ বার প্রবল বর্ষণেও কলকাতা শহরে আর জল জমে থাকবে না। কারণ, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বার এ বিষয়ে তারা অনেক আগে থাকতেই প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে প্রশাসন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)