দালালের সাহায্যে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে, মুর্শিদাবাদে গ্রেপ্তার ৮ অনুপ্রবেশকারী
প্রতিদিন | ২৬ মে ২০২৫
অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: ফের মুর্শিদাবাদে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে তাঁরা বাংলায় ঢুকে কলকাতার দিকে আসছিলেন বলে খবর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। শনিবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার হন এক দালাল-সহ ৯ বাংলাদেশি। আজ, রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির পর থেকে বাংলায় সীমান্তের উপর নজরদারি বেড়েছে। বিভিন্ন সময় সীমান্ত এলাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন একাধিক অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে ২৬ জন ভারতীয় মারা গিয়েছেন। সেই ঘটনার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের সম্পর্কের আরও অবনতি ঘটে। সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ রুখতে আরও কড়া নজরদারিও চলতে থাকে। বাংলায় যাতে কোনও জঙ্গি অনুপ্রবেশ হতে না পারে, সেজন্য পুলিশ-প্রশাসনকেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সীমান্ত এলাকাগুলিতে সদাসতর্ক পুলিশ প্রশাসন।
সেই আবহেই শনিবার রাতে রানিনগর থানার পুলিশের কাছে এই অনুপ্রবেশের খবর যায়। মুর্শিদাবাদের গৌরীবাগ এলাকা দিয়ে গাড়ি করে অনুপ্রবেশকারীরা যাচ্ছিলেন। পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌঁছে ওই গাড়ির পথ আটকায়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ভারতীয়। তিনি মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। বাকিদের কারও কাছে এদেশের কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি বলেই খবর। জেরায় জানা যায়, ওই আটজন বাংলাদেশি। দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পেরিয়ে তাঁরা এদেশে ঢুকেছেন। এরপরই পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত রবিউল ইসলামের রাজশাহির মানিকনগরে বাড়ি। ইদ্রিশ শেখ, ফারজানা খাতুনের বাড়ি দিঘোরিয়া থানার খুলনা জেলায়। জুলাইকা বিবি সাথির বাড়ি খুলনার কয়রা থানা এলাকায়। মিলন শেখ, আনারুল শেখ নড়াইল জেলার কালিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। ধৃত ভারতীয় দালালের নাম জামাল শেখ। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কাতলামারি পালপাড়ায়।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পারে, ওই দালাল মোটা টাকার বিনিময়ে অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্ত পারাপার করান। এই আট অনুপ্রবেশকারীকে গাড়ি করে মুর্শিদাবাদ স্টেশনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাঁদের কলকাতায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল। কী কারণে ওই আটজন ভারতে এসেছেন? কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশ্য কী? কোনও নাশকতার ছক আছে কি তাঁদের? সেই বিষয়ে ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।