ব্যাগে জামাকাপড়ের ভিতর থরে থরে সাজানো কার্তুজ! ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ধৃত ১
প্রতিদিন | ২৬ মে ২০২৫
অর্ণব আইচ: ফের রাজ্যে অস্ত্রপাচারের বড়সড় ছক বানচাল করল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে বিপুল পরিমাণ কার্তুজ-সহ গ্রেপ্তার এক। রবিবার বিকেল নাগাদ দূরপাল্লার একটি বাস ধর্মতলায় এসে পৌঁছনোমাত্রই এসটিএফের সদস্যরা তাতে হানা দেন। অস্ত্র বহনকারী সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় একজনকে। তাঁর ব্যাগ খুলে দেখা যায়, জামাকাপড়ের মধ্যে থরে থরে সাজানো কার্তুজ। নয় নয় করেও সেই সংখ্যা একশো রাউন্ডের বেশি! সেইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নগদ। কোথা থেকে কার্তুজ আনা হচ্ছিল, এর নেপথ্যে কে বা কারা, কোথায় অস্ত্র পাচারের ছক ছিল ? ধৃতকে জেরা করে এসব বিস্তারিত জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা।
শহরে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে, গোপন সূত্রের এসটিএফের কাছে এই খবর ছিল। সেইমতো রবিবার বিকেলে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছন আধিকারিকরা। বর্ধমান থেকে একটি বাস ধর্মতলায় পৌঁছতেই তাতে তল্লাশি চালানো হয়। হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয় এক যুবক। জানা যায়, সে কেতুগ্রামের বাসিন্দা। তার কাছ থেকে মেচেদার একটি টিকিট পাওয়া গিয়েছে। শতাধিক রাউন্ড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে তার কাছে। এরপরই ময়দান থানায় ধৃতকে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়। সেইসঙ্গে তার থেকে উদ্ধার হওয়া জিনিসপত্র খতিয়ে দেখা হয়। তার তালিকাও তৈরি করা হয়। দেখা গিয়েছে, জামাকাপড়ের ভিতরে মোট ১২০ রাউন্ড কার্তুজ নিয়ে সে বাসে এসেছে কলকাতায়।
ধৃতের নাম, পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি এসটিএফ। সে একাই অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত নাকি নেপথ্যে আরও কেউ রয়েছে, কোথা থেকে কার্তুজ এনেছিল, কী কারণে তা কলকাতায় আনা হয়, কলকাতা হয়ে তা কি অন্য কোথাও পাচারের ছক ছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। আসলে সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর থেকে দেশের সীমান্ত এলাকার পাশাপাশি বিভিন্ন জনবহুল শহরের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। লোকজনের আনাগোনার উপর নজরদারি বেড়েছে। কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয়। আর সেই বাড়তি সতর্কতাতেই গোপন সূত্রে কলকাতায় আগ্নেয়াস্ত্র আমদানির খবর পেয়ে এসটিএফের এই তল্লাশি এবং হাতেনাতে গ্রেপ্তার এক।