মাঝরাস্তায় পড়ে আস্ত একটা কফিন! সাতসকালে ফিসফাস মেয়রের পাড়ায়
বর্তমান | ২৬ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ছুটির দিনে হাত পা ছড়িয়ে বিশ্রাম নিয়ে বাজারের দিকে সবে রওনা দিয়েছিলেন এলাকাবাসীর একাংশ। চোখ কচলাতে কচলাতে ঝোলা নিয়ে বাইরে বেরোতেই দেখেন, সামনে রাখা একটি কফিন। জনা কয়েক স্কুল পড়ুয়া দাঁড়িয়ে সেই কফিনের পাশে। সমস্ত বিষয়টির ছবি তুলছেন দুই যুবক। রবিবার সাতসকালে এই দৃশ্য দেখে চমকে যান মেয়র গৌতম দেবের বাড়ির অদূরে শিলিগুড়ির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খেলাঘর মোড়ের বাসিন্দাদের একাংশ। মনে নানা প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করে। চাপা আতঙ্কের পাশাপাশি শুরু হয় কৌতুহল। ডাক পড়ে শিলিগুড়ি থানার পুলিসের। সবমিলিয়ে হুলস্থুল শুরু হয় মেয়রের ওয়ার্ডে। পরে বিষয়টি খোলসা হয়। একটি ডকুমেন্টারি শুট্যিংয়ের জন্য এতকিছুর ব্যবস্থা। হাফ ছেড়ে বাঁচেন সকলে। এই বিষয়ে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ডিসিপি(পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিন ১৭নম্বর ওয়ার্ডের খেলাঘর মোড় এলাকায় জনা পাঁচেক যুবক, চারজন যুবতী এবং কয়েকজন স্কুল ছাত্র ছাত্রী একটি কফিনের পাশে ঘোরাঘুরি করছিল। বিষয়টি দেখে লোকজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। অনেকে চমকে যান, এলাকায় কফিন কেন? ভিতরে কি মৃতদেহ রাখা আছে, সেই প্রশ্নই আসে তাঁদের মনে। স্থানীয়রা ফোন করেন কাউন্সিলার এবং ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের। সকলেই বলেন তাঁদের কিছুই জানা নেই। এরপর তাঁরা শিলিগুড়ি থানায় বিষয়টি জানান। শিলিগুড়ি থানার দুটি ভ্যানে পুলিস এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। তারা এসে ওই যুবক-যুবতীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশ দিবস নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বানাচ্ছেন। তারই শুট্যিং চলছে। ওই কফিনটিকে একটি মৃত গাছের সঙ্গে তুলনা করে শুট্যিং চলছিল। শহরে একের পর এক গাছ কাটা হয়েছে। মহাসড়কের জন্য প্রচুর গাছ কাটা হয়েছে। এই ছবি সারা পৃথিবীতে একই। ফলে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাড়ছে। ওই কফিনটিকে একটি মৃত গাছের সঙ্গে তুলনা দিয়ে স্কুল ছাত্র ও ছাত্রীদেরকে অক্সিজেনের অভাব বোঝানো এবং আগামী প্রজন্মের অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ঘুরতে হতে পারে- এমন বার্তা দেওয়ার জন্যই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একটি ডকুমেন্টারি তৈরির উদ্যোগ নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা বেদব্রত দত্ত বলেন, বিষয়টি নজরে আসতেই পুলিসকে জানাই। পরে পুলিস এসে রহস্য উদ্ঘাটন করে।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি রূপক দে সরকার বলেন, আমাদের তরফে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করা হচ্ছিল। এলাকাবাসী বুঝতে না পারেননি বসে সামান্য সমস্যা হয়েছিল। পরে মিটে গিয়েছে।