• পুজোর আগেই ৪ লেনের নয়া সেতু চালুর সম্ভাবনা ফরাক্কায়
    বর্তমান | ২৬ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরাক্কা: আগামী দু’মাসের মধ্যে ফরাক্কার চার লেনের নতুন সেতুর কাজ শেষ হবে। পুজোর আগেই ফরাক্কার এই দ্বিতীয় সেতু চালু হতে পারে। ২০১৮ সালের ২০ডিসেম্বর প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার লম্বা সেতুটির কাজ শুরু হয়েছিল। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিলেও কাজে দেরি হয়। ফরাক্কা ব্যারেজের উপর বর্তমানে চালু সেতুটি দু’লেনের। অথচ সেতুর দু’দিকেই চার লেনের ১২নম্বর জাতীয় সড়ক। ফলে দিনের বেশকিছু সময়ে সেতুতে যানজটে দুর্ভোগ দেখা দেয়। পুজোর আগে দ্বিতীয় সেতুটি চালু হলে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। সম্প্রতি নির্মাণকারী সংস্থার প্রকল্প আধিকারিক ভেঙ্কটেশ স্বামী দ্বিতীয় সেতু পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ফরাক্কার প্রাক্তন বিধায়ক মইনুল হক সহ অন্যরা।

    ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ফরাক্কার ডাউনস্ট্রিমের ৫০০ মিটার দূরে গঙ্গার উপর চার লেনের নতুন সেতু তৈরির ছাড়পত্র দেয়। নয়া সেতু হলে যানজট থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে ফরাক্কা বাঁধের নিরাপত্তাও অনেকটাই সুরক্ষিত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

    জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমান ফরাক্কা সেতুটি যখন চালু হয়েছিল, তখন ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কও দুই লেনের ছিল। দিনে তিনহাজার গাড়ি চলাচল করত। এখন ওই সড়কের নাম হয়েছে ১২নম্বর জাতীয় সড়ক। চার লেনের জাতীয় সড়কে গাড়ির সংখ্যাও চারগুণ বেড়ে ১২হাজার পেরিয়েছে। কিন্তু সেতুটি দু’লেনের হওয়ায় নিত্যদিন যানজট দেখা দেয়। নতুন সেতু চালু হলে সেই সমস্যা মিটবে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, অ্যাপ্রোচ রোড সহ নতুন সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৫.৪৬৮ কিমি। এর মধ্যে নদীর উপর মূল সেতুর অংশ ২.৫৮ কিমি। বাকি অংশ দু’ধারের সংযোগকারী সড়ক। চার লেনের সেতুটি চওড়ায় ২৫মিটার অর্থাৎ ৮২ফুট হবে। সেতুতে সবমিলিয়ে ৮৪টি পিলার রয়েছে। একটি চীনা সংস্থার সঙ্গে বিশাখাপত্তনমের একটি সংস্থা এই সেতুর কাজের দায়িত্বে রয়েছে। নির্মাণের সময়সীমা বেড়ে যাওয়ায় সেতু তৈরির খরচও অনেকটাই বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এই প্রকল্পে প্রথমে ৫২১কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছিল। সেই জায়গায় মোট ৬২২.০৪কোটি টাকা খরচ হবে।

    মইনুল হক বলেন, চারলেনের নতুন সেতু তাড়াতাড়ি চালু করার চেষ্টা চলছে। এর ফলে যানজটের দুর্ভোগ থেকে মানুষ মুক্তি পাবেন। ফরাক্কা ব্যারেজের নিরাপত্তাও অনেকটাই সুরক্ষিত হবে। জুলাইয়ে সেতুর কাজ শেষ হলে খুবই ভালো হবে। বর্তমানে অত্যধিক যান চলাচলের চাপে ফরাক্কা ব্যারেজের লকগেটগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেতুটিরও ক্ষতি হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)