• হরিয়ানার সমীক্ষক সংস্থার নামে সার্ভে, নথি দেখাতে না পারায় দুই মহিলা সহ আটক ৫
    বর্তমান | ২৬ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় সমীক্ষা চালাতে গিয়ে পুলিসের হাতে আটক হলেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে দুই মহিলাও রয়েছেন। রবিবার বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার পিঙ্কি চক্রবর্তী পাঁচজনকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেন। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানাবেন বলেও কাউন্সিলার জানিয়েছেন। বাঁকুড়ার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়, বাঁকুড়া ও সোনামুখী থানা এলাকায় ওই পাঁচজনের বাড়ি। আমারা তাঁদের আটক করেছি। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

    তৃণমূল কাউন্সিলার বলেন, এদিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা আমাকে ওই পাঁচজনের ব্যাপারে জানান। এলাকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানতে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা চালানো হচ্ছিল বলে পাঁচজন দাবি করেন। হরিয়ানার একটি সংস্থার হয়ে তাঁরা সমীক্ষা চালাচ্ছিলেন বলে জানান। যদিও তাঁরা দাবির সপক্ষে কোনও কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। ফলে তাঁদের পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেব। শহরে সমীক্ষা চালানোর জন্য পুর কর্তৃপক্ষের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে তাও নেওয়া হয়নি। বিষয়টি পুলিসকে দেখতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে বিজেপি-র কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তাও আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। 

    বিজেপি-র বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলের তরফে ওই ধরনের কোনও সমীক্ষা চালানো হয়নি। বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ভোটের আগে সমীক্ষা চালিয়ে থাকে। আটক পাঁচজন ওই ধরনের কোনও সংস্থার প্রতিনিধি হয়ে থাকতে পারেন। তাঁদের সঙ্গে বিজেপি-র কোনও সম্পর্ক নেই। 

    উল্লেখ্য, এর আগে এজেলার তালডাংরা ও ইন্দাস থানা এলাকা থেকেও সমীক্ষা চালানোর সময় কয়েকজন পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয়। তালডাংরা থানার পাঁচমুড়া এলাকায় ধৃতরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত একটি সমীক্ষক সংস্থার নাম করে এলাকায় খোঁজখবর করছিল। ধৃতদের বাড়ি ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিম বর্ধমানে। যদিও ধৃতদের সঙ্গে তাদের বা ওই সমীক্ষক সংস্থার কোনও যোগ নেই বলে তৃণমূল স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। ওই ঘটনার পর বাঁকুড়া শহরে পাঁচজন পুলিসের হাতে ধরা পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। এভাবে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা চালানোর পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা পুলিস তদন্ত করে দেখছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, সমীক্ষা চালানোর ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। কিন্তু, কী উদ্দেশ্যে তা করা হচ্ছে, সেব্যাপারে স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কারও কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা ঠিক নয়। বিশেষ করে ভোটদান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খুঁটিনাটি জানার আগে যথাযথ নিয়ম মানা প্রয়োজন। ভোটের আগে এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের তরফেও নানা নির্দেশিকা জারি করা হয়। তা সকলকে মেনে চলতে হয়। বছরের অন্যান্য সময়েও ওই সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলা উচিত।
  • Link to this news (বর্তমান)