• বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ, মেয়রকে চিঠি পাঠালেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা
    বর্তমান | ২৬ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোনও আমজনতা নয়। এবার রাজ্যের শাসকদলের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা চিকিৎসক দেবপ্রিয় মল্লিক শহরে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে সরব হলেন। অভিযোগ জানিয়ে সরাসরি তিনি চিঠি দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।

    দেবপ্রিয় মল্লিক অভিযোগ করেছেন, মাত্র ১০ ফুটের রাস্তার উপর মাথা তুলেছে চারতলা প্রাসাদোপম বহুতল। সঙ্গে ১০ হাজার বর্গফুটের ভূগর্ভস্থ পার্কিংও তৈরি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ডিজিকে বলা হলেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাই শেষমেশ মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে চিঠি লিখে অভিযোগ জানালেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা।

    জানা গিয়েছে, তাঁর চিঠিতে দেবপ্রিয় মল্লিক লিখেছেন, ২৮/৩ এ টেগোর ক্যাসেল স্ট্রিট ঠিকানায় যে বহুতল হচ্ছে, সেই কাজ সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। ওই কাজ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ফের রাতের অন্ধকারে শুরু হয়েছে। বড়-বড় ট্রাক, আর্থ মুভার, জেসিবি আসা-যাওয়ার ফলে সামনের রাস্তার হাল খারাপ হয়েছে । যেখানে-সেখানে রাস্তার মাটি বসে গিয়েছে। এই রাস্তা মাত্র ১০ ফুট চওড়া। তবে, সেখানেই উঠছে প্রাসাদোপম বহুতল। চারতলা নির্মাণ হচ্ছে ।’ সেই চিঠিতে আর্কিটেক্ট এর নাম ডেভলপারের নামও উল্লেখ করেছেন তিনি।

    এই চিঠিতে সাম্প্রতিক অতীতে শহর কলকাতায় ঘটে যাওয়া বহুতল বিপর্যয়ের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন দেবপ্রিয় মল্লিক। তিনি লিখেছেন, আমরা বিপদের আশঙ্কা করছি। এই নির্মাণে জল ও বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি না-থাকলেও, সবটাই দেদার ব্যবহার হচ্ছে । টিন ও ত্রিপল দিয়ে ঘিরে চলছে এই কু-কর্ম।’

    এ নিয়ে প্রোমোটার চক্র ও দুষ্কৃতীদের দাপটের অভিযোগ করেছেন এই চিকিৎসক। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘এই সরু গলিতে প্রোমোটার টাকার জোরে আর কিছু মাস্তানকে হাত করে এই কাজ করছেন। বাড়ির ভিতর একটা ছোট্ট নোটিশ বোর্ড থাকলেও নেই কিউআর কোড।’ বিল্ডিং বিভাগের ডিজি’র বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। 

    মেয়রকে দেবপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, ‘আপনার বিল্ডিং বিভাগের ডিজিকে ফোন করে জানালেও, তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। শেষমেষ তাই আপনার কাছে শরণাপন্ন হচ্ছি। কাউন্সিলার অজ্ঞাত কারণে নির্লিপ্ত।’ এই চিঠির প্রসঙ্গে অবশ্য পরে সংবাদমাধ্যমে দেবপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, বিল্ডিং বিভাগের ডিজি চিঠি পাওয়ার পর যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)