• বিধানসভার ভোট-অঙ্কে জুনের প্রথম দিকেই কি বাংলায় শাহ?
    এই সময় | ২৬ মে ২০২৫
  • এই সময়: আগামী ২৯ মে, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক বৈঠক ও জনসভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই বাংলায় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক করতে আসার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

    যদিও তাঁর সফরের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়‍নি। রাজ্য বিজেপির একাংশের অবশ্য দাবি, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের যে কোনও দিন শাহ কলকাতায় এসে দলের মণ্ডল সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু করার লক্ষ্যে আমরা অমিতজিকে কলকাতায় আসার অনুরোধ করেছি। উনি মৌখিক ভাবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়‍নি।’

    বাংলায় বিধানসভা ভোটের আর এক বছরও দেরি নেই। ২০২১–এর বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ–বিজেপিতে যে ভাবে ‘কেন্দ্রীয় শাসন’ জারি করা হয়েছিল তার ছিটেফোঁটাও এ বছর নেই— অন্তত এখনও পর্যন্ত।

    বরং, রাজ্য বিজেপির অনেকেরই উপলব্ধি, বাংলা আর নরেন্দ্র মোদী–অমিত শাহদের পাখির চোখ নয়। তাই, বিধানসভা ভোটের এক বছর আগেও বাং‍লায় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা সে ভাবে দেখা যাচ্ছে না।

    তবে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব মনেপ্রাণে চাইছেন, মোদী–শাহরা আবার বাংলায় ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ শুরু করুন, যাতে দলের নিচু তলার কর্মীদের মনোবল ফের চাঙা হয়।

    রাজ্যের এক বিজেপি সাংসদের কথায়, ‘গত ছ’মাসে আমরা একাধিক বার অমিত শাহ, জগৎপ্রকাশ নাড্ডাকে রাজ্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কিন্তু প্রত্যেক বারই কোনও না–কোনও জরুরি কাজে তাঁরা আটকে পড়ায় তাঁদের সফর বাতিল হয়েছে। এখন দেখা যাক, জুনে অমিতজি আসেন কি না।’

    শাহের সফর নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে মোদীর সফর চূড়ান্ত করেছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে নমো প্রত্যাশিত ভাবে ‘অপারেশ‍ন সিঁদুর’ এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানের ব্যাখ্যা দেবেন।

    কিন্তু বঙ্গ–বিজেপি চাইছে, এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সাম্প্রতিক হিংসা এবং নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতেও সুর চড়ান প্রধানমন্ত্রী। তাঁদের সেই মনোবাসনা মোদী পূরণ করেন কি না, এখন সেটাই দেখার।

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতার কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সভার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিজেপি নেতাদের কাছে টকিং পয়েন্ট চাওয়া হয়। আমরা সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জোরদার আক্রমণ শানাতে বলব। আশা করি, আমাদের দেওয়া টকিং পয়েন্ট প্রধানমন্ত্রী সেন্সর করবেন না।’

  • Link to this news (এই সময়)