• কলকাতার আকাশে ড্রোন নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা জারি
    এই সময় | ২৬ মে ২০২৫
  • সম্প্রতি রাতের আকাশে ‘আন আইডেন্টিফায়েড লাইটিং অবজেক্ট’ দেখা দিয়েছে প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও। অসম পুলিশের দাবি, গুলি করে উড়ন্ত ড্রোন নামাতে গিয়েছিল তারা। তার আগেই অবশ্য নিজে থেকে সেটি ভেঙে পড়ে। সেখানকার পুলিশকর্তাদের দাবি, কোনও ড্রোন না জানিয়ে ওড়ানো হলে গুলি করে নামানো হবে।

    গত ১৯ মে কলকাতার ‘হার্ট অফ দ্য সিটি’ এসপ্ল্যানেড, ফোর্ট উইলিয়াম, রবীন্দ্রসদন, পোর্ট এলাকা হয়ে রাতের আকাশে মিলিয়ে যায় একাধিক ‘আন আইডেন্টিফায়েড লাইটিং অবজেক্ট’। সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে কলকাতা পুলিশ।

    লালবাজারের এক কর্তার দাবি, বিষয়টি আর্মি দেখছে। সেনাবাহিনী শুধু জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। কলকাতা পুলিশের সামনে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, অসম পুলিশ যেমন গুলি করে ড্রোন নামানোর তোড়জোড় করেছিল আমরা কেন করলাম না?

    লালবাজারের একটি সূত্রের দাবি, শহরের আকাশে এরকম কিছু দেখা দিলেও আর্মি, এয়ারফোর্স, নেভি সঙ্গে কথা না–বলে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

    অসম পুলিশ জানিয়েছে, ৭ মে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে শ্রীভূমি এলাকায় আকাশে উড়ন্ত কিছু দেখা যায়। অসম গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুলিশ খবর পায় ড্রোন উড়ছে এবং সঙ্গে সঙ্গে তাকে গুলি করে নামানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

    তার আগেই অবশ্য ড্রোনটি ভেঙে পড়ে একটি বাড়ির ছাদে। ড্রোনের ভিতর থেকে একটি কম্পিউটার চিপ মিলেছে। তাতে কিছু লোড করা ছিল না। তদন্তকারীদের অনুমা‍ন, ওই ড্রোন বাংলাদেশ থেকে পাঠা‍নো হয়েছিল।

    অসমের আইজি আইন-শৃঙ্খলা অখিলেশ কুমার সিং বলেন, ‘শ্রীভূমির ড্রোনের বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।’ এর কিছুদিনের মধ্যে আরও একটি ড্রোন দেখা যায় শ্রীভূমিতেই। সে বারেও পুলিশ ড্রোন নামানোর প্রস্তুতি নিলে, জানা যায় সেটি রেলের প্রজেক্টে ব্যবহার হয়েছে।

    কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদেও মাঝে মধ্যেই দেখা দিচ্ছে এমন রহস্যজনক বস্তু। কোথা থেকে আসছে এগুলি? কারা পাঠাচ্ছে? বলতে পারছে না পুলিশ। মুখে কুলুপ সেনা কর্তৃপক্ষেরও।

    কাকদ্বীপের ফ্রেজ়ারগঞ্জ, মৌসুনি, গঙ্গাসাগর এই তিন জায়গায় চার–পাঁচটি ‘আন আইডেন্টিফায়েড লাইটিং অবজেক্ট’ দেখা যায়। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও রবিবার বলেন, ‘ওগুলি ফ্লাইট মুভমেন্টের আলো ছিল।’

    গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসনাবাদে ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের কাটাখালি এলাকাতেও ‘আন আইডেন্টিফায়েড লাইটিং অবজেক্ট’ দেখা যায়। কিন্ত সেগুলি যে কী, তার উত্তর মেলেনি বসিরহাটের পুলিশ সুপার মেহেদি হাসানের কাছেও। গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)