শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: একের পর এক রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে বাড়িতে আগুন। ঘটনায় জখম ওই বাড়ির মালিক পেশায় ব্যবসায়ী নিতাই মহান্ত। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ পুরসভা এলাকার শেঠকলোনি এলাকায়। ওই বাড়িতে কীভাবে এত গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শেঠবাগান এলাকার ওই বাড়িতে রবিবার গভীর রাতে বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে আগুন ধরে যায় ওই বাড়িতে। সেসময় বাড়ির মধ্যেই একাই ছিলেন নিতাই মহান্ত নামে ওই ব্যক্তি। আগুনের তীব্রতা দ্রুত বাড়তে থাকে। এরপর একে একে আরও বিস্ফোরণ হতে থাকে। বিকট আওয়াজে কেঁপে উঠতে থাকে এলাকা। স্থানীয়দের অনেকেই মহিলা, শিশুদের বাড়ি থেকে বার করে নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। প্রথমে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। নিতাই মহান্তকে বাড়ির ভিতর থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাঁকে কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। যাতে কোনওভাবে ইলেকট্রিকের তারে আগুন লেগে আরও বড় বিপর্যয় না হয়, সেজন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফ থেকে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। দমকলকর্মীদের চেষ্টায় গভীর রাতে ওই আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে। আরও একাধিক রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার মজুত ছিল বলে জানা গিয়েছে। কী কারণে, গৃহস্থ বাড়িতে এত রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার মজুত ছিল? বেআইনি সিলিন্ডারের ব্যবসা করেন ওই ব্যক্তি? সেই প্রশ্ন উঠেছে। দমকল সূত্রে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ওই বাড়িতে কোন সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করছিল। কোনওভাবে আগুন জ্বালতেই বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।