বাজ পড়ে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালের অক্সিজেন ও ইলেকট্রিক লাইনে আগুনের ঝলক। সোমবার দুপুরে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। সামনেই ছিল মহিলা ওয়ার্ড। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, ভয়ঙ্কর আওয়াজের সঙ্গে আগুনের ঝলকানি, তার পরই চার দিক ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক, আয়া, কর্মীরা সকলেই এগিয়ে আসেন। ওই রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ভয় পেয়ে যান রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা।
সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গার মতো বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হচ্ছিল চুঁচুড়ায়। বক্রেশ্বর থেকে পিসিকে দেখতে ইমামবাড়া হাসপাতালে এসেছিলেন মালতি রায়। তিনি বলেন, ‘পিসিকে ওষুধ খাওয়াব বলে বসে আছি। হঠাৎই দুম করে একটা শব্দ। ঘর কেঁপে উঠল। আগুনের ঝলকানি, এর পরই গোটা ঘর অন্ধকার। কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। মনে হচ্ছে ঘর যেন কুয়াশায় ঢাকা।’
মালতি জানান, সকলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। ভয়ে বেড থেকে নেমে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন রোগীরা। মালতি তাঁর পিসিকে কোনও মতে টেনে নিয়ে নীচে নামেন। হাসপাতালের কর্মীরাও ছুটে আসেন। সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় রোগীদের।
হাসপাতালের তিন তলায় মহিলা ওয়ার্ড। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। বাজ পড়ে আগুন লেগে যায় অক্সিজেনের লাইন ও বিদ্যুতের কনসিলে। হুগলি ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার দেবাশিস বিশ্বাস জানান, মেন বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে পৌঁছন তাঁরা। খুব বড় কিছু ঘটেনি। রোগীদের সুস্থ ভাবে উদ্ধার করে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। কারও কোনও ক্ষতি হয়নি। ওয়ার্ডের কাছেই অক্সিজেন লাইন, ইলেক্ট্রিক লাইন ছিল। বাজ পড়ায় এমনটা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘হাসপাতালে ফিমেল ওয়ার্ডের খুব কাছে বাজ পড়ে। সে কারণেই অক্সিজেনের পাইপ লাইন ও বিদ্যুতের লাইনে আগুন ধরে যায়। বিদ্যুৎকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করেন। রোগীরা সকলেই নিরাপদে আছেন।’