রাজ্যে কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী পালন হচ্ছে সোমবার। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পক্ষ থেকে সর্বত্র এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়। কিন্তু রবিবার নদিয়ার কালীগঞ্জে উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই খানিক সমস্যায় পড়েন জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কর্তারা। অনুষ্ঠানের অনেক কিছুই কাটছাঁট করা হয়। এমনকী ‘নেতা-মন্ত্রী’-দের আমন্ত্রণ জানিয়েও তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের কর্তারা যদিও বিষয়টিতে অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না।
রবিবারই নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, ভোট হবে ১৯ জুন, গণনা ২৩ জুন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া গুজরাট, কেরালা, পাঞ্জাবেও ওই দিন উপনির্বাচন হবে। স্বাভাবিক ভাবেই আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু হয়েছে গোটা জেলায়।
জেলার কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, কল্যাণী, তেহট্ট, এই চার মহকুমাতেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে অনেক কিছুই বদলাতে হয় দপ্তরকে। ওই দপ্তরের কৃষ্ণনগরের এক কর্তা বলেন, ‘নজরুল জয়ন্তীর সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নাম-ছবি তুলে রাতারাতি ব্যানার চেঞ্জ করতে হলো। যে সব জনপ্রতিনিধিকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, তাঁদের ফোন করে আসতে বারণ করা হয়। এটাই নিয়ম, সর্বত্র এটাই করা হয়েছে। খুবই রুটিন একটা ব্যাপার।’