• ‘আছেন কি না জানি না’, কেষ্টর মন্তব্যের পরেই কাজল বললেন, ‘হয়তো চোখে চশমা...’, বীরভূমে তাল ঠোকাঠুকি চলছেই
    এই সময় | ২৭ মে ২০২৫
  • সোমবার বোলপুর শহরে তৃণমূলের মহামিছিল আয়োজিত হয়। একটি হুডখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু, এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই নেতা প্রথমে বলেন, ‘জেলা পরিষদের সভাধিপতি এসেছেন কি না জানি না।’ তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা সরব হয়েছেন কাজল শেখও।

    ঘটনার সূত্রপাত বোলপুর শহরে তৃণমূলের মহামিছিল থেকে। এ দিন বোলপুর মহকুমার সমস্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে এই মিছিলের আয়োজন করা হয়। শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল শুরু হয়েছিল এবং শেষ জমায়েত হয় বোলপুরের চারমাথা মোড়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির সদস্যরা। কিন্তু, এ দিন অনুব্রত মণ্ডল মঞ্চে ওঠেননি।  হুডখোলা জিপে দাঁড়িয়েই বক্তব্য রাখেন। 

    আর বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদের সভাধিপতি এসেছেন কি না জানি না।’ যদিও কয়েক সেকেন্ড পরেই ডান দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘সভাধিপতি আছেন। সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’ উল্লেখ্য, এই পদের দায়িত্বে রয়েছেন কাজল শেখ এবং তিনি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। 

    অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন কাজলও। তিনি বলেন, ‘কে আমার নাম নিল, কে নিল না, তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। আমার নাম যাঁর নেওয়ার তিনি নেন, আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আমাকে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে তুলে নিয়ে দিয়ে বড় দায়িত্ব নিয়েছেন। কেউ কেন আমার নাম নেননি, তা তাঁর বিষয়। হয়তো চোখে চশমা ছিল না বা বয়স হয়ে গিয়েছে, ভালো করে দেখতে পারছেন না। হয়তো ঘাড় ঘুরিয়ে দেখেননি। আমি ছিলাম, আছি, থাকব। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলের সঙ্গে আছি। আগামীতেও থাকব।’

    বীরভূম রাজনীতিতে অনুব্রত-কাজল সম্পর্ক সমীকরণ এখন ‘পার্টিগণিত’-এর সবথেকে জটিল ধাঁধা, দাবি রাজনৈতিক মহলের। সোমবার ফের তৃণমূলের এই দুই নেতার কথার মধ্যে ‘তাল কেটেছে’ বলে জানাচ্ছেন ওয়াকিবহাল মহল। 

    তাঁর কথার মধ্যে যে সুক্ষ্ম খোঁচা ছিল, তা দাবি করেছেন জেলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এ দিন মিছিল শেষে বোলপুর চৌরাস্তায় যে সভামঞ্চ করা হয়েছিল সেখানে অন্যান্য সকল নেতৃত্বের সঙ্গে কাজল শেখ থাকলেও মঞ্চে যাননি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি হুডখোলা গাড়িতেই বক্তব্য রাখেন। 

  • Link to this news (এই সময়)