• বাজ পড়ে আগুন, তুমুল চাঞ্চল্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে...
    আজকাল | ২৭ মে ২০২৫
  • মিল্টন সেন, হুগলি:‌ বজ্রপাতে আগুন লেগে গেল অক্সিজেনের পাইপ এবং ইলেকট্রিক লাইনে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার বিকেলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্মীদের তৎপরতায় বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা। 

    সোমবার সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে। দুপুরে কিছুটা কমে। আবার বিকেল থেকে শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টি। তখন হঠাৎই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতাল। দেখা যায় হাসপাতালের ঠিক পেছনের দিকে বাজ পড়েছে। বাজ পড়েছে হাসপাতালের তিনতলায় থাকা ফিমেল জেনারেল ওয়ার্ডে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওয়ার্ডের ভেতরে থাকা অক্সিজেন পাইপ এবং ইলেকট্রিক লাইনে। বাজ পড়ার মুহূর্তের মধ্যে অক্সিজেন লাইন ও বিদ্যুতের কনসিলে দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয় রোগীসহ পরিবারের লোকজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে তড়িঘড়ি ওই ওয়ার্ড থেকে সমস্ত রোগীকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় অন্যত্র। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেয় হাসপাতালের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার খবর দেন দমকলে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। ততক্ষণে হাসপাতালে থাকা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে হাসপাতালের কর্মীরা। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এই প্রসঙ্গে হুগলি দমকল কেন্দ্রের স্টেশন অফিসার দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‌বাজ পড়ে হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে অক্সিজেন ও বিদ্যুতের লাইনে আগুন লেগে গিয়েছিল। তড়িঘড়ি হাসপাতালে থাকা অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যা কিছু ক্ষতি হয়েছে সেটা তথ্য দপ্তরের লোকজন এসেছেন, তাঁরা দেখেছেন।’‌

    হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেছেন, ‘‌হাসপাতালের ফিমেল ওয়ার্ডের খুব কাছে বাজ পড়ে। যে কারণে অক্সিজেন পাইপ লাইন ও বিদ্যুতের লাইনে আগুন ধরে যায়। হাসপাতালে কর্মীরা এসে আগুন নেভায়। হাসপাতালের ইলেকট্রিশিয়ান যারা আছে টেকনিক্যাল যারা আছে তারা লাইন মেরামতির কাজ করছে। সে সময় যারা ওই ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন তাদেরকে অন্য জায়গায় সরানো হয়েছে।’‌ ঘটনার সময় ওয়ার্ডে কর্মরত আয়া মহামায়া কুণ্ডু বলেন, ‘‌বাজটা পড়ার পর হঠাৎ করে শব্দ হল। তারপরেই আগুন ধরে গেল।’‌ তিনি চেঁচিয়ে সবাইকে ডেকেছেন মেন সুইচ বন্ধ করার জন্য। নিচ থেকে সবাই ছুটে এসেছে। তারপর আগুন নেভানো হয়। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে বড় বিপদ হতে পারত। ছবি পার্থ রাহা

    ‌‌
  • Link to this news (আজকাল)