বিধানসভায় অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা, অধিবেশন শুরু ৯ জুন
প্রতিদিন | ২৭ মে ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রস্তাব আসছে বিধানসভা অধিবেশনে। আলোচনা হবে। সোমবার একথা জানালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অধিবেশন। চলবে সপ্তাহ দুয়েক। উল্লেখ্য, সংসদে অপারেশন সিঁদুরের উপর আলোচনা চেয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বিধানসভা অধিবেশনেও এনিয়ে আলোচনা চেয়ে প্রস্তাব আনা হচ্ছে।
এদিন স্পিকার জানান, ৯ জুন থেকে শুরু হতে চলা বিধানসভার অধিবেশনে সেনাবাহিনীকে সম্মান প্রদর্শন করে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রস্তাব আসছে। প্রস্তাব আনছে শাসক দল। আর যদি শাসকদলকে না আনে তাহলে নিজের ক্ষমতাবলে সেই প্রস্তাব আনবেন স্পিকার। যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, জাতীয়তাবাদ নিয়ে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল। ইতিমধ্যেই সভা, সমিতি, মিছিল মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবাদে অস্ত্রে শান দিয়েছে তারা। এবার বিধানসভায় সেই অস্ত্র আরও একবার প্রয়োগ করতে চায় রাজ্যের শাসকদল।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্ন করে সিঁদুরের পাশাপাশি বিরোধীরা মুর্শিদাবাদ নিয়ে আলোচনা চাইলে কী হবে? এ প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, “বিরোধীরা প্রস্তাব আনুক। তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ছোটখাটো অনেক বিষয়ে ওরা প্রস্তাব আনে, আলোচনা চায়। তারপর মুখ্যমন্ত্রী বলার সময়ে ওয়াক আউট করে।” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি জানি না, সংসদের প্রধানমন্ত্রী বলার সময় বিরোধীরা ওয়াক আউট করলে সেটা ওদের জন্য কতটা অস্বস্তি হয়।”
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। জানা গিয়েছে, পর্যন্ত ভারতীয় সেনার অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি ও ৩৫-৪০ জন পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ইসলামাবাদের মিনতিতে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় নয়াদিল্লি। অপারেশন সিঁদুরে ভারতীয় সেনার সাফল্যকে সম্মান জানানো হবে বিধানসভা অধিবেশনে।