ওষুধের নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর, জারি ১৬ দফা নির্দেশিকা
বর্তমান | ২৭ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: ওষুধের গুণমান ঠিক রাখাই মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের তরফে ১৬দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর তা মেনে চলতে নানা পরিকল্পনা শুরু করল জেলার স্বাস্থ্যদপ্তর। জানা গিয়েছে, জেলার বিভিন্ন সরকারি স্টোরে জোরকদমে পরিদর্শন শুরু করবেন আধিকারিকরা। একইসঙ্গে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ থাকলে, তা দ্রুত নষ্ট করবে স্বাস্থ্যদপ্তর। এছাড়াও, বিভিন্ন বেসরকারি দোকানেও আচমকা পরিদর্শন করা হবে। স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ওষুধের গুণমান পরীক্ষার বিষয়টি রুটিন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হয়। কোনও বেসরকারি দোকান মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে জাল ওষুধ সরবরাহ নিয়েও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সিএমওএইচ সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে বিশেষ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশিকা মেনেই কাজ হবে। মানুষের কাছে ভালো মানের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেইসময় স্যালাইন নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন মৃত প্রসূতিদের পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও, মাঝেমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগও শিরোনামে উঠে এসেছে বহুবার। সেই কথা মাথায় রেখেই বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাতৃত্বকালীন সময়ে ব্যবহৃত ওষুধের উপর বিশেষ জোর দিতে হবে। এই সময় ব্যবহৃত ওষুধের গুণমান নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। এছাড়া, স্টোর ইন-চার্জ সমস্ত ওষুধের যথাযথ সংরক্ষণের জন্য দায়ী থাকবেন। তাপমাত্রা সংবেদনশীল ওষুধের উপর বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। একইসঙ্গে, প্রতিটি ওষুধ ব্যবহারের আগে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। রোগীদের জন্য ই-প্রেসক্রিপশন সিস্টেম, অনলাইনে ওষুধ বিতরণ ও অনলাইন ইস্যু-ভাউচার তৈরি বাধ্যতামূলক হবে। অপরদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল, ফার্মেসি ও দোকানগুলিতে পরিদর্শন ও ওষুধের গুণমান পরীক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি, হাসপাতাল প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিতভাবে প্রেসক্রিপশন অডিট বাধ্যতামূলকভাবে গ্রহণ করা সহ একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা রানা দাস বলেন, মানুষের জীবন ওষুধের উপরেই নির্ভরশীল। এই নির্দেশিকার খুব প্রয়োজন ছিল। শুধুমাত্র গাফিলতির জেরেই ওষুধ নষ্ট হয়।