• ছোট শহরগুলিই টার্গেট, লুটে সক্রিয় ‘বিহারী গ্যাং’, ডিকি থেকে টাকা লুটের ঘটনার তদন্তে উঠে এল নয়া তথ্য
    বর্তমান | ২৭ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিস থেকে টাকা তুলে বেরলেই অনুসরণ করছে ‘বিহারি গ্যাং’। তারপর সুযোগ বুঝে সেই টাকা হাতিয়ে চম্পট দিচ্ছে। সম্প্রতি একাধিক ঘটনায় গ্রেপ্তারির পর এমনই তথ্য জানতে পেরেছে রানাঘাট জেলা পুলিস। কখনও বিহারের কাটিহার, কখনও জলপাইগুড়ির ফাটাপুকুর থেকে এই কারবার ‘অপারেট’ করছে দুষ্কৃতীরা।  

    সম্প্রতি শান্তিপুর পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মী ব্যাঙ্ক থেকে প্রভিডেন্ট ফান্ডের প্রায় দু’লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। টাকা রেখেছিলেন স্কুটির সিটের নীচে ডিকিতে। মিনিট দশেক স্কুটি ছেড়ে তিনি খানিকটা দূরে গিয়েছিলেন। তারই মধ্যে কাজ হাসিল করে দুষ্কৃতীরা। তদন্তে পুলিস জানতে পারে, এই কাণ্ডে জড়িত দুষ্কৃতী বিহারে পালিয়ে গিয়েছে। এরপর বিহারের কাটিহার জেলার রাউতাড়া থেকে গণেশ যাদব নামে এক দুষ্কৃতীকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, এই ধরনের অপরাধ সংগঠিত করতে রাজ্যজুড়েই সক্রিয় ‘বিহারি গ্যাং’। এদের মধ্যে ছোটখাটো কিছু গ্যাং রয়েছে যারা বাছাই করা এলাকায় অপারেশন চালায়। 

    তবে তাদের টার্গেটের মধ্যে থাকে পশ্চিমবঙ্গের ছোট শহরগুলি। এই গ্যাংয়ের লোকজন প্রথমে ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিস থেকে কেউ মোটা টাকা তুলতে তাঁকে অনুসরণ করে। সেই ব্যক্তি সামান্য অন্যমনস্ক হলেই টাকা লুট করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এভাবেই পুরসভা কর্মীকে অনুসরণ করে তাঁর টাকা হাতায়। মাসখানেক আগে সুত্রাগড়ে মিষ্টির দোকানে দই কিনতে ঢোকা এক ব্যক্তির গাড়ি থেকে টাকার ব্যাগ হাতানোর ঘটনা ঘটেছিল। চটজলদি গাড়ির লক খোলা, ব্যাগ হাতানো, হাত সাফাইয়ের সিদ্ধহস্ত এই গ্যাংয়ের সদস্যরা। 

    জানা গিয়েছে, এ নিয়ে শান্তিপুরেই তিনটি ঘটনা ঘটেছে। যার পিছনে জড়িত এই বিহারি গ্যাং। তাদের একটি অংশ এই অপরাধমূলক কাজকর্ম অপারেট করছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি থেকেও। তদন্তে শান্তিপুর থানা এমন একজনকে জলপাইগুড়ির ফাটাপুকুর এলাকা থেকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়াও হরিণঘাটা থানা এলাকায় এই ধরনের অপরাধেও বিহারি গ্যাংয়ের যোগ মিলেছে। শিয়ালদহ লাইনের বিভিন্ন ছোট শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে বিহারি গ্যাং। এছাড়া আর কোথায় কোথায় এই গ্যাং সক্রিয়, তা জানতে ধৃত গণেশকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। পুলিসের এক কর্তা বলেন, মূলত কাটিহার বা বিহারের বিভিন্ন জায়গা থেকে এরা আসছে। জলপাইগুড়ির ফাটাপুকুরেও এই গ্যাংয়ের বেশকিছু লোক রয়েছে বলে আমরা সন্ধান পেয়েছি। বিগত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ধৃত গণেশ যাদব-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)