• করোনার তথ্য নথিভুক্তিতে জোর রাজ্যে, সতর্কতাও
    আনন্দবাজার | ২৭ মে ২০২৫
  • দেশে কোভিড আক্রান্ত ক্রমশ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের করোনা সংক্রান্ত পোর্টালে সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বঙ্গে মোট আক্রান্ত ১২ জন। কিন্তু চলতি বছরে এ রাজ্যে মোট ২৫ জনের মতো আক্রান্ত বলে খবর মিলেছিল। এমনকি, শুধু শেষ সাত দিনেই ১৯ জন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে চার জন ইতিমধ্যে কোভিড নেগেটিভ হয়েছে। তা হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পোর্টালে রাজ্যের আক্রান্তের সংখ্যা ১২ কেন?

    স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, কোভিড পজ়িটিভ এলেই তা স্বাস্থ্য দফতরের পোর্টালে নথিভুক্ত করার নির্দেশ আগে থেকেই রয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হচ্ছে না। তাঁদের কথায়, ‘‘পরিস্থিতির উপর নজরদারি বাড়াতে করোনা পজ়িটিভের তথ্য নথিভুক্ত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’

    তবে প্রকৃত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ্যে আনতে রাজ্যের ভূমিকা আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁদের কথায়, ‘‘আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ঠিকই। কিন্তু সতর্কতা প্রয়োজন। তাই দৈনিক না হলেও সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা উচিত। না হলে বিভ্রান্তি বেশি ছড়াবে।’’

    স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিভিন্ন হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরিকে ফের সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও কেউ সময়মতো তথ্য না জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।’’

    বেসরকারি সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে কলকাতা মেডিক্যালে দু’জন, বাইপাসের ধারের দু’টি বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সাত জন এবং কাঁকুড়গাছির নার্সিংহোমে এক জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই রোগীদের মধ্যে ন’মাসের এক শিশুও রয়েছে। আবার শহরের একটি বেসরকারি পরীক্ষাগারে পরীক্ষায় আসা পাঁচটি নমুনাই কোভিড পজ়িটিভ। তবে ওই পাঁচ জনই বাড়িতে রয়েছেন বলে খবর। আলিপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালের এক জন, মগরাহাটের দু’জন, মধ্য কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে এক জন রোগী দিন কয়েক আগে করোনা মুক্ত হয়েছেন।

    জানা যাচ্ছে, কলকাতা মেডিক্যালে করোনা পজিটিভ হয়ে চিকিৎসাধীন ন’মাসের শিশু এবং ৫৫ বছরের প্রৌঢ়া জ্বর, সর্দি, শুকনো কাশি এবং সঙ্গে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। গত ২২ মে ভর্তি হওয়া ওই শিশুকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। ১৯ মে ভর্তির পরে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল ওই প্রৌঢ়াকেও। এখন তাঁর আর অক্সিজেন লাগছে না।

    করোনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে নির্দেশিকা জারি করেনি স্বাস্থ্য দফতর। তবে সতর্ক থাকতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বেলেঘাটা হাসপাতাল। সূত্রের খবর, আচমকা রোগীর সংখ্যা বাড়লে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পাঁচটি শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। ই এম বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালেও তিন শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। সেখানে করোনা আক্রান্ত ১৫ বছরের এক কিশোর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)