• বি.টেক ইঞ্জিনিয়ার আলিফা, কাজ করেন নামী সংস্থায়, তৃণমূলের কালীগঞ্জের প্রার্থীর বায়োডেটা দেখেছেন?
    এই সময় | ২৭ মে ২০২৫
  • পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ নন কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। বাবার হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে হাতেখড়ি তাঁর। কালীগঞ্জের প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। ছোট থেকে বিভিন্ন মিটিং, মিছিলে বাবার সঙ্গী তিনি আর সেখান থেকেই রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। বেসরকারি সংস্থার কর্মী হলেও রাজনীতিতে তাঁর আসক্তি তাঁর রক্তে। প্রয়াত বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদের জয়ী আসনে তাঁর কন্যা আলিফা আহমেদের উপরেই ভরসা রাখল তৃণমূল কংগ্রেস।

    ছাত্র রাজনীতি না করলেও ২০১৮ সালে প্রথম নদিয়া জেলা পরিষদের প্রার্থী হিসেবে রাজনীতির ময়দানে আত্মপ্রকাশ এবং জয়লাভ আলিফার। বাবা নাসিরুদ্দিন আহমেদ নিজে হাতে রাজনীতি শিখিয়ে গিয়েছেন মেয়ে অলিফাকে, দাবি ঘনিষ্ঠ মহলের।

    বাবা নাসিরুদ্দিন আহমেদ ২০১১ সালে যখন ভোটে লড়েন, তখন থেকেই বুথ ধরে ধরে নির্বাচন পরিচালনা করতেন আলিফা। তাই রাজনীতিতে তাঁর অনেক আগে থেকেই অভিজ্ঞতা রয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। তবে এত তাড়াতাড়ি দল যে এত বড় দায়িত্ব দেবে তা ভাবতে পারেননি আসিফা। তবে তিনি নিজের দায়িত্ব নিয়ে সম্পূর্ণ সচেতন এবং জয় নিয়েও আত্মবিশ্বাসী।

    তৃণমূল প্রার্থী আলিফার ছাত্রজীবন শুরু হয়েছিল কৃষ্ণনগরে। সেখান থেকে কৃষ্ণনগর হোলি ফ্যামিলি গার্লস স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে বি.টেক করেন দুর্গাপুর বেঙ্গল কলেজ থেকে। বর্তমানে টাটা কনসালটেন্সি এজেন্সির প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আলিফা আহমেদ। পেশার কারণে অধিকাংশ সময় কলকাতায় থাকলেও দল যা দায়িত্ব দিয়েছে তা পালন করতে তিনি এখন কালীগঞ্জেই থাকবেন বলে জানান।

    কৃষ্ণনগরের রাজনৈতিক ময়দানে কান পাতলে কানাঘুষো শোনা যায় নাসিরুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মধুর সম্পর্ক ছিল না। তবে তা বরাবরই খারিজ করে এসেছেন মহুয়া-ঘনিষ্ঠরা। মঙ্গলবার আলিফার নাম ঘোষণা হওয়ার পর সাংসদ মহুয়া মৈত্র নিজে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে এই খবর শেয়ার করেন।

    অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রশ্ন শুনে আলিফা আহমেদ জানান, ‘একটা সর্ববৃহৎ দলে মনোমালিন্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। ওখানে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। দল দায়িত্ব দিয়েছে একেবারে বুথ স্তর থেকে সকলকে নিয়ে একসঙ্গে আলোচনা করে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ব। বাবা নাসিরুদ্দিন আহমেদ মানুষের জন্য যে সমস্ত কাজ করে গিয়েছেন তাতে নির্বাচনে বাবার ইমেজটাই সব চাইতে বড় কাজে লাগবে।’

    কালীগঞ্জে লালদা বলে বিখ্যাত ছিলেন নাসিরুদ্দিন আহমেদ। পেশায় আইনজীবী নাসিরুদ্দিন প্রথম বার ২০১১ সালে তৃণমূলের বিধায়ক হন। মাঝে ২০১৬ সালে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের প্রার্থী শেখ হাসানুজ্জামানের কাছে হারলেও ২০২১ সালে ফের জয়ী হন কালীগঞ্জেব ‘লাল সাহেব’।

    এই বিধানসভা কেন্দ্র বাবা নিজে হাতে তৈরি করেছেন বলে দাবি প্রাক্তন বিধায়ক কন্যার। কালীগঞ্জের মানুষ তাকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ এবং দোয়া পাবেন বলেও আশা। বাবার রাজনৈতিক আদর্শে শিক্ষিত আলিফার সাফ কথা, বিরোধীদের লড়াই তিনি ছোট করে দেখছেন না। তবে বাবার চেয়েও বেশি মার্জিনে জয়লাভই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন, কালীগঞ্জ বিধানসভার বাসিন্দাদেরও সেই আস্থা অর্জন করতে চান তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)