এই সময়: বৃষ্টিতে কোথায়-কোথায় জল জমলো, তার বরোভিত্তিক তালিকা তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা। পরবর্তী সময়ে সেই তালিকা ধরে ডেঙ্গি রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভায় ১৬টি বরো রয়েছে।
এই ১৬টি বরোর কোন কোন ওয়ার্ডের কোথায়, কোথায় বৃষ্টির জল জমছে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম সোমবার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিজির নেতৃত্বে এই তালিকা হচ্ছে। তৈরি হলে সেই তালিকা আমার কাছে পাঠানো হবে।’
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর প্রাক–বর্ষার বৃষ্টিকে ডেঙ্গি মোকাবিলায় কাজে লাগাতে চায় পুরসভা। তাই জল জমছে, এমন এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ওই সব এলাকায় ভরা বর্ষায় যাতে জল না জমে, তার জন্য নিকাশি বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
পাশাপাশি ওই সব এলাকায় মশার আঁতুড়ঘর চিহ্নিত করে তা নষ্ট করার কাজ শুরু করা হবে। কোথাও জঞ্জাল জমে থাকলে জঞ্জাল অপসারণ বিভাগকে তা দ্রুত সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ওই সব এলাকায় বাড়ির মধ্যে জল জমে রয়েছে কি না, সেই জলে ডেঙ্গির জীবাণুবাহি মশার লার্ভা রয়েছে কি না, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা সেই খোঁজে নামবেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এরই মধ্যে মেয়রের নেতৃত্বে ডেঙ্গি রোধের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। প্রতি বছর উত্তর কলকাতার তুলনায় দক্ষিণে বেশি ডেঙ্গি রোগীর খোঁজ মেলে। পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর মোট ডেঙ্গি রোগীর ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মেলে দক্ষিণ কলকাতায়। উত্তর কলকাতায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রোগী মেলে। তাই ডেঙ্গি প্রতিরোধ প্রস্তুতি বৈঠকে দক্ষিণ কলকাতার ওয়ার্ডগুলিতে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে এই সব ওয়ার্ডের ডেঙ্গি প্রতিরোধ নিয়ে ডোর–টু–ডোর প্রচার শুরু হয়েছে। যে সব ওয়ার্ডে ডেঙ্গির সম্ভাবনা বেশি রয়েছে, সেই সব জায়গায় নিয়মিত পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
পুরসভা স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ভরা বর্ষায় ডেঙ্গি হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা থাকে না। বৃষ্টি থামার পরেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। বর্ষার শেষ থেকে শীত আসার আগে মরশুম ডেঙ্গির জন্য আদর্শ। তবে পরিস্থিতির উপরে নজরদারিটা শুরু করতে হয় প্রাক–বর্ষা থেকেই।