• বাড়িতে সিম কার্ডের পাহাড়, তাহলে কি জঙ্গি যোগ রয়েছে? মুর্শিদাবাদের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য...
    আজকাল | ২৭ মে ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেআইনিভাবে মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রির চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে সোমবার রাতে মহ্যমপুর গ্রাম থেকে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম মোমিন মল্লিক (২০) ও হোসেন মল্লিক (২৬)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের থেকে বিভিন্ন সিম কার্ড সংস্থার মোট ১১৮৩টি চালু সিম কার্ড এবং ১১টি কিপ্যাড মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই সিম কার্ডগুলি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেই ব্যবহৃত হচ্ছিল। মঙ্গলবার ধৃতদের বহরমপুর আদালতে পেশ করার হয়।

    ধৃতদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে। জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান, ধৃত দুই ভাই বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকে পুরনো মোবাইল ফোন কম দামে কিনে আনতেন। এসব ফোনে থাকা পরিত্যক্ত বা ‘ডি-অ্যাক্টিভেট’ না-করা সিম কার্ডগুলো পুনরায় চালু করে বিক্রি করা হতো। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের থেকে ৩৫৮টি ভোডাফোন, ৪৭৩টি বিএসএনএল, ২৬২টি এয়ারটেল, ৬৮টি জিও, ২২টি আইডিয়া সংস্থার সিম উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধৃতরা সিম কার্ডগুলো বিভিন্ন জালিয়াত চক্র ও অসাধু ব্যক্তিদের কাছে সরবরাহ করত।

    অনেক ক্ষেত্রেই এই সিম কার্ডগুলি দিয়ে অনলাইন প্রতারণা, হুমকি ও আর্থিক জালিয়াতি চালানো হত। যেহেতু সিম কার্ডগুলো অন্যের নামে চালু ছিল, ফলে মূল অপরাধীকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। পুলিশের সন্দেহ, সীমান্তবর্তী এলাকায় সক্রিয় থাকা কিছু জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের কাছেও সরবারহ করা হত এই সিমগুলি। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ‘একটি সিম কার্ড যদি কোনও অপরাধে ব্যবহৃত হয়, তাহলে যার নামে নম্বরটি রয়েছে তাঁকে খোঁজে পুলিশ। ফলে, প্রকৃত অপরাধীর বেঁচে যাওয়ার সুযোগ থাকে’। এই চক্রটি কতদিন ধরে সক্রিয় ছিল, কারা এর সঙ্গে যুক্ত, কত দামে সিম বিক্রি হত সব খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
  • Link to this news (আজকাল)