অর্ণব আইচ: ধর্মতলায় বিপুল পরিমাণ কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন রামকৃষ্ণ মাজি। তাঁকে ধারাবাহিক জেরা করে বেশ কিছু তথ্য ও বেশ কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে। এসটিএফ সূত্রে তেমন কথাই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, উদ্ধার হওয়া কার্তুজের সঙ্গে বিহার যোগ থাকতে পারে বলেও অনুমান করছেন গোয়েন্দারা।
রবিবার বর্ধমানের কেতুগ্রাম থেকে বাসে করে কলকাতায় ধর্মতলায় নেমেছিলেন ওই ব্যক্তি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসটিএফের দল হানা দিয়েছিল সেখানে। উদ্ধার হয়েছিল ১২০ রাউন্ড কার্তুজ। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। ধৃত ব্যক্তি এসটিএফের হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে জেরা করেই আরও তিন-চারজনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। সেই ব্যক্তিদের খোঁজও শুরু হয়েছে বলে খবর। ধৃত রামকৃষ্ণ ক্যারিয়ার হিসেবে ওই কার্তুজ কলকাতায় এনেছিলেন। হলদিয়ার একটি যোগও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তাঁর সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি যোগাযোগ করে থাকবে। তেমনই মনে করা হচ্ছে। কাদের মাধ্যমে এই কার্তুজ তাঁর কাছে পৌঁছল? তদন্তকারীরা মনে করছেন, একটা বড় চক্র কাজ করছে এই পিছনে।
উদ্ধার হওয়া এই বিপুল পরিমাণ কার্তুজ বিহার থেকে এসেছে। এমন অনুমানও করছেন গোয়েন্দারা। রাজ্যে বিহারের মুঙ্গের থেকে অস্ত্র ঢুকছে। সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক অস্ত্র-কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় মুঙ্গের যোগ পাওয়া গিয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া সেসব কার্তুজের সঙ্গে নতুন উদ্ধার কার্তুজের মিল আছে। সেই কথাও গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে। রামকৃষ্ণের থেকে আরও তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছে এসটিএফ।
কেতুগ্রাম ১ ব্লকের প্রত্যন্ত কুলুন গ্রামের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মাজি। বাড়িতে স্ত্রী ও আড়াই বছরের মেয়ে রয়েছে। পারিবারিক একটি বলেরো গাড়ি চালাতেন রামকৃষ্ণ। পাণ্ডুগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি লক্ষণ মণ্ডল বলেন, “রামকৃষ্ণ মাজি দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় বিজেপি কর্মী। এলাকায় সন্ত্রাস করারও অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া আরও বদনাম রয়েছে। আমরা চাই এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।” যদিও বিজেপির সাংগঠনিক বোলপুর জেলা সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ মণ্ডল অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, “বিজেপির সঙ্গে ওই যুবকের কোনও সম্পর্ক নেই।”