‘পুরনো ফর্মেই কাজ করুন’, টানাপোড়েনের মাঝেই দিলীপকে বার্তা শীর্ষ নেতৃত্বের
প্রতিদিন | ২৭ মে ২০২৫
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য বিজেপিতে দলবদলু ও ক্ষমতাসীন শিবিরের একাংশ দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) কোণঠাসা করার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই দলবদলু শিবিরের আপত্তি খারিজ করে পুরনো ফর্মেই পার্টির কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে নির্দেশ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। জানা যাচ্ছে, আরএসএসের তরফেও দিলীপকে বলা হয়েছে, দলের কাজ করে যাওয়ার জন্য। তাই নিজের পুরনো লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুরেই পার্টির কাজে লাগাতারভাবে অংশ নিচ্ছেন প্রাক্তন সাংসদ।
ছাব্বিশের নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের পুরনো কর্মীদের মাঠে নামাতে বঙ্গ বিজেপির সফলতম সভাপতি হিসাবে পরিচিত দিলীপ ঘোষের যে কোনও বিকল্প নেই, তা ভালোভাবেই জানেন দিল্লির নেতারা। তাই ছাব্বিশের ভোটের আগে দিলীপ ঘোষকে দূরে সরিয়ে রাখার পক্ষপাতী নন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সিংহভাগই। রাজ্য বিজেপির দলবদলু অংশ ও ক্ষমতাসীন শিবিরের একাংশের যতই আপত্তি থাকুক তা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই দিলীপ ঘোষকে তাঁর পুরনো লোকসভা কেন্দ্র মেদিনীপুরে দলীয় কর্মসূচি করে যাওয়ার জন্য বার্তা এসেছে দিল্লির তরফে। খুব শীঘ্রই দিলীপকে বঙ্গ বিজেপির ‘রেগুলার’ কর্মসূচিতেও কাজে লাগানো হবে বলেই খবর।
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে সম্প্রতি দিঘায় গিয়ে জগন্নাথমন্দির দর্শন করেছেন দিলীপ। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎও করেছেন তিনি। আর তারপর থেকেই দলবদলু বিজেপি ও দলের ক্ষমতাসীন শিবিরের একাংশ দিলীপকে এড়িয়ে চলার কৌশল নিয়েছে। দিঘায় গিয়ে জগন্নাথ মন্দির দর্শনের পর এখনও পর্যন্ত রাজ্য বিজেপির মিডিয়া গ্রুপে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কোনও কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। কিন্তু গত কয়েকদিন একাধিক দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। গত রবিবার খড়গপুর, বেলদা ও দাঁতনে কর্মসূচি করেছেন।
সূত্রের খবর, ছাব্বিশের ভোটে দলের কাজে দিলীপকে কাজে না লাগালে সেটা পার্টির পক্ষে বুমেরাং হতে পারে। কারণ, পুরনো নেতা-কর্মীদের বড় অংশই দিলীপ-ঘনিষ্ঠ। প্রসঙ্গত, দলের যে অংশ তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছেন, সেই দলবদলু বিজেপি নেতাদের সঙ্গে ‘কমপ্রোমাইজ’ করবেন না বলে ইতিমধ্যেই আরএসএসের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে এসেছিলেন দিলীপ। শুধু তাই নয়, কোন পরিস্থিতিতে তিনি বঙ্গ বিজেপির দলবদলু নেতাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করছেন, সেটা নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে এসেছেন আরএসএস নেতাদের কাছে।