‘প্রোটোকল মেনে আমন্ত্রণ করেনি’, মোদির সভার আগে গোঁসা অনন্তর
বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, কোচবিহার: কাল, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সভায় যাবেন কি না তা নিয়ে এখনও দ্বিধায় রয়েছেন ক্ষুব্ধ অনন্ত মহারাজ। মোদির সভার ৪৮ ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে বিজেপির একমাত্র রাজ্যসভার সাংসদ নগেন রায় ওরফে অনন্ত মহারাজ দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
মহারাজের দাবি, নরেন্দ্র মোদির সভায় বিজেপি তাঁকে প্রোটোকল মেনে ডাকেনি। প্রধানমন্ত্রী যে উত্তরবঙ্গে আসছেন তা তিনি জানেনই না। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের নিচুতলার কর্মীরা তাঁকে ফোন করে ডেকেছেন। এতেই ক্ষুব্ধ অনন্ত মহারাজ। ফলে কাল মোদির সভায় তিনি আদৌ যাবেন কি না সেই বিষয়টি এখনও তাঁর কাছে চিন্তাভাবনার স্তরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
কোচবিহারে বিজেপি অনেকদিন ধরেই সাংগঠনিক দুর্বলতায় ভুগছে। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে বিজেপির শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে এখানে সংগঠনের রাশ আলগা হয়েছে। সিতাই বিধানসভা উপ নির্বাচনে পরাজয়ের পর পদ্ম শিবিরের সেই ক্ষয় আরও প্রকোট হয়েছে। সম্প্রতি দলের জেলা সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। তারপরও দল আন্দোলনমুখী হয়ে উঠতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জেলায় বিজেপি চাপের মুখে পড়েছে। গোটা উত্তরবঙ্গে গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজের সংগঠন রয়েছে। ফলে তাঁর এই অভিমানের রেশ উত্তরের আট জেলাতেও পড়বে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ নগেন রায় ওরফে অনন্ত মহারাজ এদিন বলেন, আমি রাজ্যসভার সিনিয়র সাংসদ। প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসছেন, কিন্তু আমি জানি না। আমাকে কিছুই বলাই হয়নি। প্রোটোকল মেনে আমাকে আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। বিজেপির নিচুতলার কর্মী দিয়ে আমাকে কেন ডাকা হচ্ছে? যাঁরা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে আছেন তাঁদের ডাকা উচিত ছিল। বিজেপির প্রোটোকল কি বলে? কি আর বলব! কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বিজেপির জেলা সভাপতিরা আমাকে মঙ্গলবার ফোন করে বলেছেন। না যাওয়ার তো প্রশ্ন নেই, তবে যাব কি না চিন্তা করব।
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন, নগেনবাবু রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁর বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব নিশ্চয় ভাববে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার জন্য জেলায় জোরদার প্রস্তুতি নিচ্ছি। মণ্ডলে মণ্ডলে বৈঠক হচ্ছে।