সংবাদদাতা, ইসলামপুর: কালিয়াগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরও সতর্কতার চিত্র চোখে পড়ছে না ইসলামপুর মহকুমা জুড়ে। এখনও পুলিসের কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। অথচ ইসলামপুর পুলিস জেলার চোপড়া, ইসলামপুর, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া ও ডালখোলা থানা এলাকায় কিছু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করে রিফিলিং করছেন। এনিয়ে বিভিন্ন মহলে পুলিসের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পুলিস জানিয়েছে, জেলা পুলিস এব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার মজুত এবং রিফিলিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযানে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। জেলা পুলিসের এক শীর্ষকর্তা এমনটাই জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রান্নার গ্যাসের বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে রিফিলিং করা হয়। একাংশ হোটেল,রেস্টুরেন্ট মালিকরা বাণিজ্যিক গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন না। তাঁরা ডোমেস্টিক সিলিন্ডার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি নিয়ম না মেনে টোটোতে করে গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহণও করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও পুলিস কর্তারা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারই একটি টোটো আটক করা হয়েছে। ওই টোটোটি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বোঝাই করে ইসলামপুর থেকে ১২ কিমি দূরে রামগঞ্জে যাচ্ছিল।
প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে একটি দোকানে গ্যাস ওভেন মেরামতের কাজ হতো। সেই সঙ্গে ছোটো গ্যাস সিলিন্ডার রিফিলিংও করা হতো। এজন্য বেশকিছু গ্যাস সিলিন্ডার মজুত রাখা হয়েছিল। রবিবার রাতে সেই গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে দোকানের মালিক এখন চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, দু’বছর আগে জেলাশাসকের নির্দেশে ইসলামপুর শহরে অবৈধ রান্নার গ্যাস বিক্রির দোকানে অভিযান চালিয়েছিল প্রশাসন। সাতটি দোকানে অভিযান চালিয়ে দু’টি দোকান সিল করা হয়েছিল। এরপরে আর উল্লেখযোগ্য অভিযান হয়নি।
ইসলামপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ডেন্ডুপ শেরপা বলেন, অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার মজুত কিংবা রিফিলিংয়ের দোকানগুলিতে অভিযান চালাতে সমস্ত থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিস এবিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখে পদক্ষেপ করছে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতি থানা এলাকায় গ্যাস ওভেন সংক্রান্ত জিনিসপত্র মেরামত ও বিক্রি করা হয়। একাংশ ব্যবসায়ী গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করে। কেউ কেউ আবার বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে রিফিলিং করে। বাজারের মধ্যে, স্কুলের পাশে বা জনবহুল এলাকায় এমন বহু দোকান আছে। সেখানে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ড ঘটলে মারাত্মক আকার নিতে পারে। শুখা মরশুমে আগুনের একটি স্ফুলিঙ্গই বড় দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই পুলিসকে এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। নিজস্ব চিত্র।