রায়গঞ্জে ট্রাক্টরে সজোরে ধাক্কা ডাম্পারের, মৃত্যু এক শিশুর, আশঙ্কাজনক আরও তিন
বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: জাতীয় সড়কে ডিভাইডারের অবৈধ কাটআউট দিয়ে পারাপারের সময় ফের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার বিকেলে রায়গঞ্জের কৃষ্ণমুড়ি এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের অবৈধ কাটআউট দিয়ে একটি ট্রাক্টর পারাপারের চেষ্টা করে। এমন সময় নাগর থেকে শিলিগুড়িমোড় গামী একটি ডাম্পার পিছন থেকে এসে ট্রাক্টরটিকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কায় ট্রাক্টরের ডালায় বসে থাকা এক শিশুর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তার নাম আবু সালেক রহমান (৮)। আরও ২ শিশু ও ট্রাক্টর চালক আশঙ্কাজনক। তাদের রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকলেই চিকিৎসাধীন। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিকে ঘটনার পরই জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে অবৈধ কাটআউট নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, জাতীয় সড়কের মাঝে অবৈধ কাটআউট থাকার কথা নয়। অনেকেই নিজেদের সুবিধার জন্য ডিভাইডারের যেখানে সেখানে কাটআউট বানিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে রায়গঞ্জ পুলিসের বক্তব্য, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘাতক ডাম্পার ও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রাক্টরটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় খবর, এদিন বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জের কৃষ্ণমুড়ি এলাকায়। বিহারের কোটরা থেকে একটি ট্রাক্টর শিলিগুড়ি মোড়ের দিকে আসছিল। ওইসময় ট্রাক্টরের ডালায় তিন শিশু বসেছিল। ট্রাক্টরটি আচমকা জাতীয় সড়কে ডিভাইডারের কাটআউট পেরোনোর চেষ্টা করছিল। কার্যত জাতীয় সড়কের মাঝে ট্রাক্টরটি যখন আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে ছিল, সেসময় বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একটি ডাম্পার তাতে ধাক্কা মারে। ডাম্পারের ধাক্কায় ট্রাক্টরটি হুড়মুড়িয়ে উল্টে যায়। তখনই ট্রাক্টরের ডালায় থাকা তিনটি শিশু জাতীয় সড়কের উপর ছিটকে পড়ে। ট্রাক্টর থেকে পড়ে যান চালকও। স্থানীয় লোকজন ঘটনা দেখে ছুটে আসেন। আহতদের উদ্ধার করেন। হাইওয়ে ট্রাফিকগার্ডের পুলিসও ঘটনাস্থলে আসে এবং আহত চারজনকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে আনে।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ছুটে আসেন মৃত ও আহতদের বাড়ির লোকজন। তাঁদের আত্মীয় আসাদুল রহমান, মাহমুদ আলমরা জানান, তাঁরা দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছেন। ট্রাক্টর চালক মহম্মদ মুস্তাফা আলি (২৭), মিনহাজ আলম (৯), পারভেজ আলম (৮) গুরুতরভাবে জখম হয়েছে। পরিজনরা বলেন, মৃত ও আহত সকলেই একই পরিবারের লোকজন। সকলে বিহারের কোটরার বাসিন্দা। এদিন হজের কিছু সামগ্রী ট্রাক্টরের ডালায় চাপিয়ে কৃষ্ণমুড়ি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিল মহম্মদ মুস্তাফা আলি। যাওয়ার পথেই এই অঘটন। তাঁদের দাবি, পুলিস এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত করুক। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত পুলিস প্রশাসনের। নিজস্ব চিত্র।