• দীঘার এসি ভলভো বাসের ভাড়ায় পুজো পর্যন্ত ছাড়ের ভাবনা এনবিএসটিসি’র
    বর্তমান | ২৮ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: উত্তরের ৬ জেলা থেকে দীঘার জগন্নাথধাম এসি ভলভো বাসের ভাড়ায় পুজো পর্যন্ত ছাড় দেওয়ার ভাবনা এনবিএসটিসি’র। আজ, বুধবার জলপাইগুড়ি থেকে প্রথম ওই বাসের যাত্রা শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে নিগমের জলপাইগুড়ি ডিপোয় আসেন এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়। সেখানে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে দীঘার জগন্নাথধাম বাতানুকূল বাসের ভাড়ায় আপাতত আমরা ১৫ জুন পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ছাড় দিয়েছি। তবে যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখে দুর্গাপুজো পর্যন্ত ওই ছাড় বহাল রাখার চিন্তাভাবনা করছি আমরা। 

    নিগম সূত্রে খবর, কাল, ২৯ মে শিলিগুড়ি-দীঘা বাস চালু হবে। ৩০ তারিখ কোচবিহার ও রায়গঞ্জ থেকে দীঘার উদ্দেশে যাত্রা করবে বাস। ৩১ তারিখ আলিপুরদুয়ার ও মালদহ থেকে শুরু হবে দীঘার বাসযাত্রা। জলপাইগুড়ি থেকে ৪৩ আসনের বাসটি আজ, বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ রওনা দেবে। পৌঁছবে পরদিন সকাল আটটা নাগাদ। ইতিমধ্যেই ওই বাসের ৩২টি টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়ে গিয়েছে। বাস ছাড়ার আগে বাকি টিকিটও বিক্রি হয়ে যাবে বলে আশাবাদী নিগমের চেয়ারম্যান। আপাতত সপ্তাহে দু’দিন বুধ ও শনিবার জলপাইগুড়ি থেকে দীঘা ওই এসি ভলভো বাস চলবে। ছাড় দিয়ে জলপাইগুড়ি থেকে জগন্নাথধাম পর্যন্ত ভাড়া পড়ছে ১৪৫০ টাকা। কলকাতা পর্যন্ত ভাড়া ১১২০ টাকা। 

    এদিন এনবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান বলেন, জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা এতদিন নিগমের সরাসরি কোনও বাস ছিল না। শিলিগুড়িতে গিয়ে বাস ধরতে হতো। দীঘার বাসটি কলকাতার উপর দিয়ে যাবে। ফলে কলকাতা যাওয়ার ক্ষেত্রেও যাত্রীদের সুবিধা হবে। 

    আগামী ১৫ জুন থেকে উত্তরবঙ্গে চারটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিএসটিসি। কোচবিহার-শিলিগুড়ি রুটে দু’টি এসি বাস দেওয়া হচ্ছে। একটি করে বাতানকূল বাস চলবে আলিপুরদুয়ার-শিলিগুড়ি এবং রায়গঞ্জ-শিলিগুড়ি রুটে। নিগমের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের কর্মীর সংখ্যা কম। তার মধ্যেও যতটা সম্ভব যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রতিমাসে ১৫ লক্ষ যাত্রী আমাদের বাসে চড়েন। আমাদের কাছে এই মুহূর্তে ৭৪২টি বাস রয়েছে। রোজ প্রায় সাড়ে ছ’শো বাস রাস্তায় চলছে। বর্তমানে এনবিএসটিসি প্রতিমাসে গড়ে ১৫ কোটি টাকা আয় করছে।

    অভিযোগ, হলদিবাড়ি সহ ডুয়ার্সের রুটে রাতের দিকে এনবিএসটিসি’র বাস পাওয়া যায় না। একটু রাত হলেই কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ির বাসও অমিল হয়ে যায়। নিগমের চেয়ারম্যানের দাবি, কোন কোন রুটে যাত্রী চাহিদা আছে, তা খতিয়ে দেখতে শীঘ্রই আমরা সার্ভে শুরু করতে চলেছি। সেইমতো রাতে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)